কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং কি খেলে বাতের ব্যথা কমে জেনে নিন
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং কি খেলে বাতের ব্যথা কমে এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আরও জানতে পারবেন বাতের ব্যথা হলে করণীয় সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। কিন্তু এই বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে বেশ কিছু খাবার খেলে আবার কিছু খাবার খেলে এ ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। তাহলে জেনে নিন কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এ সম্পর্কে-
লাল মাংস: গরু, খাসি, ভেড়ার মাংসে প্রচুর পরিণাম প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই মাংস খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। ফলে বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং বাতের সমস্যা থাকলে লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রক্রিয়া জাত মাংস: প্রক্রিয়া জাত মাংসে উচ্চ মাত্রায় চর্বি, লবণ এবং মাংস প্রক্রিয়াজাত করনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান থাকে। যা বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে তা বুঝতেই পাছেন।
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার: অতিরিক্ত ভাজা পোড়া ও চর্বি জাতীয় খাবার খেলে প্রদাহ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে এখনই ভাজা পোড়া খাওয়া বন্ধ করে দিতে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল সেবন বা মদ্য পান করলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যার ফলে প্রদাহ বেড়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এখনই এই বদ অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তা না হলে বাতের ব্যথা কমবেনা।
চিনি যুক্ত খাবার: অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খেলে বাতের ব্যথা দ্রুত বেড়ে যায়। এতে করে আপনার ভুগান্তি আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং চিনি জাতীয় সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরিত হয়ে যাবে।
পাস্তা: পাস্তা আমাদের অনেকেরই পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে একটী। কিন্তু আপনি যদি বাতের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এটি আপনার জন্য হতে পারে বিপদ জনক একটি খাবার। কেননা এতে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটেন। এর এটি জয়েন্টের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ।
সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা বা গাঁটের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই পাস্তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এ সম্পর্কে।
টমেটো: টমেটো অত্যান্ত উপকারি সবজি হলেও বাতের ব্যথা থাকলে এটি এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা টমেটোতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতো উপাদান রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি কিন্তু টমেটো খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
এতে করে বাতের ব্যথাও আরও বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে বাতের ব্যথা আরও প্রকোপ আকার ধারণ করবে।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার: মিষ্টি এমন একটি খাবার যে খাবার টি খেলে যোকোনো ধরনের ব্যথা এমনিতে বেড়ে যায়। কেননা মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে চিনি। আর এই চিনিতে বিদ্যমান রয়েছে সাইটোকাইনস। যা বাতের ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবার যেমন- মিষ্টি, কেক, কোমল পানীয়, আইসক্রিম সহ বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকত হবে।
দুগ্ধজাতীয় খাবার: আপনি যদি বাতের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর এই প্রোটিন অস্থিসন্ধির আশেপাশে যে টিস্যু গুলো থাকে, তাতে অস্বস্তি তৈরি করে থাকে। ফলে প্রদহ বেড়ে যায়।
সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা মুক্ত থাকতে চান, তাহলে দুগ্ধজাতীয় খাবার অর্থাৎ দুধ, দই, মিষ্টি সহ বিভিন্ন ধরনের দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ভুট্রার তেল: ভুট্রার তেল খেলে প্রদহ বেড়ে যায়। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ রয়েছে। যা বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে ভুট্রার তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে প্রয়োজন অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। কিন্তু সেই সাথে ডিমের কুসুমে অ্যারাকিডনিক অ্যাসিড বিদ্যমান থাকে। যার ফলে বাতের ব্যথাও বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে বুঝতেই পারছেন।
লবণ: আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা লবণে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। যা বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
গ্লুটেন সমৃদ্ধ: গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এগুলো উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। আর এই উচ্চ প্রোটিন বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। তাই বাতের সমস্যা থাকলে গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গম, বার্লির মতো শস্যদানা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফাস্ট ফুড খাবার: আমাদের সবারই তো পছন্দের খাবার হল ফাস্ট ফুড। কিন্তু আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ফাস্ট ফুড বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। সুতরাং বাতের ব্যথা থাকলে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সবজি: কিছু কিছু সবজি আছে যেগুলো খেলে বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি বাতের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে কিছু সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- আলু, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম, বেগুন, পালং শাক এবং লেবু সহ এ জাতীয় সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়।
কার্বহাইড্রেট: কার্বহাইড্রেট খেলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এটি আপনার বাতের প্রদহ বৃদ্ধি করে দিবে।
কফি: অতিরিক্ত কফি পান করলেও বাড়তে পারে বাতের ব্যথা। কেননা কফিতে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। যা বাতের প্রদহ বৃদ্ধি করে দেয়। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যাথায় ভুগে থাকেন, তাহলে কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কি খেলে বাতের ব্যথা কমে
আদা: আদাকে বলা হয়ে থাকে সব রোগের দাদা। সেই সাথে এই আদা ব্যথার উপশম করতে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং আপনি বাত সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত আদা খেতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথার উপশম হয়ে যাবে।
রসুন: রসুন প্রদাহ কমাতে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন এবং একই সাথে রসুন কুচি কুচি করে তেলের মধ্যে দিয়ে তেল গরম করে ব্যথার স্থানে মালিস করতে পারেন। এতে করে ব্যথা কমে যাবে।
হলুদ: প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে হলুদ। এতে বিদ্যমান রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মতোই কার্যকরী। যার ফলে এটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে হলুদের ব্যবহার করতে পারেন।
বাঁধা কপি ও ব্রকলি: বাঁধা কপি ও ব্রকলি বাতের ব্যথা হ্রাস করতে সহায়তা করে থাকে। কেননা এতে বিদ্যমান রয়েছে সালফোরেফেন। যা মূলত অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে।
ওমেগা-৩: বাতের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ওমেগা-৩। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন। যেমন- সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, বাদাম, তিল, সবুজ শাক প্রভৃতি।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: বাতের ব্যথার উপশম করতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত পরিমাণ মতো ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে পারেন।
বেরি: যেকোনো ধরনের বেরি বাতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। কেননা বেরি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা কমে যায়। ফলে বাতের ব্যথাও কমে যায়।
ভিটামিন সি: ভিটামিন-সি খেলে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা কমে যায়। ফলে বাতের ব্যথাও কমে যায়। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত ভিটামিন- সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে পারেন।
গ্রিনটি: গ্রীনটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেকিন বিদ্যমান রয়েছে। যার ফলে গ্রীন টি পান করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত গ্রীনটি পান করতে পারেন।
মটর শুটি: মটর শুটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। ফলে এটি বাতের ব্যথা হ্রাস করতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত মটর শুটি খেতে পারেন। এতে করে ব্যথার উপশম হয়ে যাবে।
বাদাম ও শিমের বিচি: বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও শিমের বিচিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যেমন-প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন ই ও ফাইবার। এই উপাদান গুলো আমাদের জয়েন্টের ব্যথা বা বাতের ব্যথা হ্রাস করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত বাদাম ও শিমের বিচি খেতে পারেন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথা কমে যাবে।
শাক সবজি: বাতের ব্যথা হ্রাস করতে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি শাকসবজি খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। ফলে বাতের ব্যথারও উপশম হয়ে যাবে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে পারেন।
বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত
বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নাও থাকতে পারে। সুতরাং চিন্তার কোনো কারন নেই। কেননা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যেমে আমি আপনাকে জানাবো বাতের ব্যথা হলে কি করবেন এ সম্পর্কে-
- ব্যতের ব্যথার সম্মূখীন হলে সর্ব প্রথম একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এতে করে বাতের ব্যথা ভালো হবে।
- ব্যথার স্থানে ঠাণ্ডা বা গরম ছেঁক দিতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। ফলে আপনি আরাম অনুভব করবেন।
- মালিশ বা ম্যাসাজ: রসুন, কালোজিরা ও তেল একত্রে গরম করে ব্যথার স্থানে মালিশ বা ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে করে ব্যথা কমে যাবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
- মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ
কালোজিরা: বাতের ব্যথা কমাতে কালোজিরার ব্যবহার করতে পারেন। এরজন্য আপনি চাইলে কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন এবং কালোজিরার তেল খেতে পারেন এবং ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদ ও দুধ: হলুদ যেকোনো ব্যথা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং বাতের ব্যথা দূর করার জন্য আপনি চাইলে কাচা হলুদ বেটে দুধের সাথে মিশ্রণ করে সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথার উপশম হবে।
আদা: আদা যেকোনো ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা কমাতে চান, তাহলে আদার সাথে গুড় মিশ্রণ করে সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। এগুলোই বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
বাতের ব্যথা কমানোর ঔষধ
বাতের ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। তবে আজকের আর্টিকেলের এ অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে বাতের বা যেকোনো রোগের ঔষধ একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিৎ নয়।
সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথার ঔষধ সেবন করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সেবন করবেন। বাতের ব্যথার ঔষধ গুলো হল-
- Methotrexate,
- Folix,
- Diclomol tablet,
- Dexoforex,
- Folic acid Tablet,
- Domperidone Capsule.
এগুলো সহ অনেক ঔষধ রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথার ঔষধ সেবন করতে চান, তাহলে অবশ্যই কজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সেবন করবেন।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়?
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- হাঁটুর জয়েন্টে, পায়ের আঙ্গুলে, কোমরের জয়েন্টে, কব্জির জয়েন্টে, হাতের জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশীতে সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে।
ভাত খেলে কি বাত বাড়ে?
ভাত খেলে কি বাত বাড়ে এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- ভাত সরাসরি বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে না। তবে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাবে। ফলে বাতের ব্যথাও বেড়ে যাবে।
বাতের রোগী ওজন কমানোর উপায়?
বাতের রোগী ওজন কমানোর উপায় এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- নিয়মিত হাঁটাহাটি করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এবং যেসব খেলে বাতের ব্যথা কমে সহ বাতের ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য ইতিমধ্যে জেনেছেন। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার পরিচিদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করবেন। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের কোনো তথ্য যদি আপনার কাছে ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে থাকে অনুগ্রহ করে সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
সেই সাথে এরকম নিত্য নতুন বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.kanon24.com নিয়মিত ভিজিট করুন। এতোক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url