বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ২০ টি উপায়-বাতের ব্যথার লক্ষণ
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য।
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আরও জানতে পারবেন বাতের ব্যথা কেন হয়, লক্ষণ সহ বিভিন্ন তথ্য। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন।
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাতের ব্যথা খুবই খারাপ একটি বিষয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন। এই বাতের ব্যথা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। যেমন- মাংস পেশী, হাড়ে এ ব্যথা বেশি অনুভূত হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে এ ব্যথা থেকে মুক্ত থাকায় যায়। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হল-
ব্যায়াম করা: বাতের ব্যথা দূর করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। বাতের ব্যথা দূরে রাখতে নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম করা অভ্যাস গড়ে তুলুন। একই সাথে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথা দূর হবে। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এটি অন্যতম।
খালি পায়ে হাঁটা: পেশিরত ব্যাথা এবং বাতের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি চাইলে নিয়মিত সকালে খালি পায়ে মাটি বা সতেজ ঘাসের উপরে কিচ্ছুক্ষণ হাটা হাটি করুন এবং একই সাথে আপনার পায়ের গড়ন অনুসারে নরম জুতা পরিধান করুন। অবশ্যই উঁচু জুতা পরিধান থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার।
সাঁতার: বাতের ব্যথা দূর করার জন্য একটি উত্তম ব্যায়াম হল সাঁতার কাটা। সাঁতার কাটলে শরীরের পানির মধ্যের ভারশূন্যতা পেশীর ব্যথা বা চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। একই সাথে হাটু ও নিতম্বের জোর বৃদ্ধি করে থাকে এবং শরীরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং বাতের ব্যথা কমাতে সাঁতার কাটতে পারেন।
খাদ্যাভাস পরিবর্ত: এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে বাতের ব্যাথা বৃদ্ধি পেতে পারে আবার অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে বাতের ব্যথা আবার কমে। সুতরাং খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতার সাথে খেতে হবে এবং দেখে শুনে খেতে হবে।
গরম বা ঠাণ্ডা থেরাপি: বিভিন্ন স্থানের ব্যথা কমানোর জন্য গরম বা ঠাণ্ডা থেরাপি হতে পারে একটি সহজ সামাধান। আপনি চাইলে আপনার ব্যথার স্থানে গরম বা ঠাণ্ডা থেরাপি দিতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথা দ্রুত কমে যাবে। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এটি অন্যতম।
ম্যাসাজ বা মালিশ: ব্যথা দূর করার আরও একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হল ব্যথার স্থানে হালকা বা মালিশ বা ম্যাসাজ করা। এর জন্য আপনি চাইলে সরিষার তেল, কালোজিরা ও রসুন একত্রে গরম করে আপনার ব্যথার স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বাতের ব্যথা হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে একটি। সুতরাং আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ্য রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এতে করে বাতের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং একই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। এতে করে আপনার ব্যথা কমে যাবে। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
আদা: আদাকে বলা হয়ে থাকে সব রোগের দাদা। এই আদা আর্থ্রাইটিস রোগ বা বাতের ব্যথার উপশম করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথা উপশম হয়ে যাবে।
গ্রীন-টি: গ্রীন-টি বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান বাতের ব্যথা বা পেশির ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা বা পেশির ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রীণ টি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথার উপশম হবে।
হলুদ: হলুদ সংক্রামণ বিরোধী। সেই সাথে এতে বিদ্যমান উপাদান গুলো জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে খাবারে হলুদ যোগ করতে পারেন অথবা কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সাথে মিশ্রণ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার বাতের ব্যথার উপশম হবে।
ভাজা পোড়া ও মসলা পরিহার: অতিরিক্ত ভাজা পোড়া ও মসলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে। কেননা এই খাবার গুলো বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা কমাতে চান, তাহলে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, চর্বি জাতীয় খাবার এবং মসলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন।
ঘরোয়া মিশ্রণ: অতিরিক্ত বাতের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি চাইলে ঘরোয়া মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে কয়েক চা চামচ পরিমাণ লবঙ্গ গুড়া এবং ২-৩ চা চামচ পরিমাণ অলিভ অয়েল নিতে হবে। এরপরে উপাদান দুইটিকে ভালো মতো মিশ্রণ করে নিতে হবে।
এরপরে ব্যথার স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়াও হতে পারে। কিন্তু এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আপনার বাতের ব্যথা কমে যাবে। সুতরাং বাতের ব্যথা কমানোর জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্য এটি একটি।
ঠাণ্ডা গরম পানির থেরাপি: দ্রুত ব্যথা কমানোর জন্য ঠাণ্ডা গরম পানির থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। এরজন্য আপনাকে প্রথমে এক পাত্রে বরফ দেওয়া ঠাণ্ডা পানি নিতে হবে এবং অন্য পাত্রে গরম পানি নিতে হবে। এরপরে প্রথমে ১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে ব্যথার স্থান ডুবিয়ে রাখুন এর পরে ৩০ সেকেন্ডের মতো গরম পনিতে ডুবিয়ে রাখুন।
এইভাবে ২০ মিনিট একই কাজ করুন। এতে করে অনেক আরাম পাবেন। সুতরাং আপনি যদি আপনার বাতের ব্যথা কমাতে চান, তাহলে ঠাণ্ডা গরম পানির থেরাপি নিতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যথা দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন সি: পেশির ব্যথা বা বাতের ব্যথা দূর করতে বেশি বেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান। কমলা লেবু, আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এর এই ভিটামিন সি আমাদের হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। সেই সাথে বাতের ব্যথা বা পেশি ব্যথা দূর করে থাকে।
ওমেগা থ্রী: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে এটি বাতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথা বা পেশির ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রী জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেমন- রুই মাছ, টুনা মাছ বা সামুদ্রিক মাছ।
বাদাম: বাতের ব্যথা বা পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আখরোট, পেস্তা, আমন্ড বাদাম খেতে পারেন। কেননা এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-ই এ ফাইবার সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে, যার ফলে অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস কমাতে সহায়তা করে থাকে।
বাতের ব্যথার লক্ষণ
বাতের ব্যথার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশিত হয়ে থাকে। বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলো হল-
- পেশি প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া বাতের ব্যথার অন্যতম লক্ষণ।
- বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- শরীর দুর্বল লাগা বা ক্লান্তি অনুভূত হওয়া।
- মাঝে মাঝে হাত পা ঝিম ঝিম করা।
- হাত পা নড়াচড়া করতে অসুবিধা হওয়া।
- হঠাৎ করেই শরীরের যেকোনো স্থানে ফুলে যাওয়া বা ফুলার মতো ভাব হওয়া।
- হালকা জ্বর হওয়া।
- পায়ের গোড়ালিতে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- মুখের ভিতরে ঘা হতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
- ক্ষুধা মন্দা।
- ওজন হ্রস পাওয়া।
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের র্যাশ বা ফুসকুড়ি বের হতে পারে।
- ব্যথার স্থানে ব্যথার কমে যাওয়ার ফলেও ফুলে থাকে।
- এমন কি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।
- অনেকে রক্তশূন্যতায় ভুগেও থাকেন।
- এগুলো সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি হতে পারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা।
বাতের ব্যথার কারণ
বাতের ব্যথার কারণ গুলো হল-
- জিন গত কারনে বা বাবা মায়ের বাতের সমস্যা থাকলে সন্তানদেরও হতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন বেশি হলে বাতের সমস্যা হতে পারে।
- বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝঁকি বাড়ে।
- ইনজুরি বা আঘাতের জন্যেও বাতের ব্যথা হতে পারে।
- এছাড়াও বিভিন্ন কারনে এই বাতের ব্যথা হয়ে থাকে।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এ সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। তো চিন্তার কোনো কারন নেই কেননা আমি আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। বাতের ব্যথা সাধারনত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে প্রথম দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়াও এর প্রধান লক্ষণ গুলো হল প্রদাহ, অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা।
বাতের ব্যথার আঙ্গুলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। যার ফলে আঙ্গুল নড়াচড়া করাতেও অনেক কষ্ট হয়ে থাকে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানের জয়েন্ট বা মাংস পেশিতে ব্যথা হতে পারে। যা খুবই কষ্টকর। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তাহলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
বাতের ব্যথার ব্যায়াম গুলো হল-
পুশ আপ: পুশ আপ এমন একটি ব্যায়াম যা নিয়মিত করলে আমাদের শরীরের মাংসপেসি গুলো মজবুত হয়ে থেকে। এতে করে বাতের ব্যথাও অনেকটাই কমে যায়। সুতরাং বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত পুশ আপ দিন। একই সাথে লেগ রেজ ও হাফ স্কোয়াট ব্যায়াম গুলো নিয়মিত করতে পারেন।
বাত ব্যথার জন্য কি কি খাওয়া নিষেধ?
বাত ব্যথার জন্য কি কি খাওয়া নিষেধ এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- গরুর মাংস, লাল মাংস, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত লবণ ও চিনি, প্রসেসড ফুড এসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাত ব্যাথার জন্য কোন ডাক্তার দেখানো উচিত?
বাত ব্যাথার জন্য কোন ডাক্তার দেখানো উচিত এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল-রিউমাটোলজিস্ট।
বাত ব্যথা কি কারনে হয়?
বাত ব্যথা কি কারনে হয় এ সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনুগ্রহ করে পড়ে নিবেন।
বাতের জন্য বেগুন খেলে কি ভালো হয়?
বাতের জন্য বেগুন খেলে কি ভালো হয় এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- না। বাতের ব্যথার জন্য বেগুন ক্ষতিকারক।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়, বাতের ব্যথা কেন হয়, এর লক্ষণ সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য ইতিমধ্যে জেনেছেন। সুতরাং আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন এই টিপস গুলো মেনে চলতে পারেন এবং একই সাথে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার পরিচিদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করবেন। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলের কোনো তথ্য যদি আপনার কাছে ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে থাকে অনুগ্রহ করে সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
সেই সাথে এরকম নিত্য নতুন বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.kanon24.com নিয়মিত ভিজিট করুন। এতোক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url