লালসালু উপন্যাসের মূলভাব এবং লালসালু উপন্যাসের চরিত্রসমূহ
লালসালু উপন্যাসের মূলভাব এবং লালসালু উপন্যাসের চরিত্রসমূহ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ রচিত লালসালু উপন্যাস সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে আরও আলোচনা করা হয়েছ লালসালু উপন্যাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন।.
লালসালু উপন্যাসের মূলভাব
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একজন শ্রেষ্ঠ সফল ঔপন্যাসিক হলেন সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ। (জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২, মৃত্যু: ১০ অক্টোবর ১৯৭১) । তাঁর রচয়িত উপন্যাস মোট তিনটি। তাঁর রচয়িত উপন্যাস গুলো হল- লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) এবং কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮) সালে প্রকাশিত হয়।
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ সর্বপ্রথম সমজের কুসংস্কার ভেঙ্গে দিতে ১৯৬৪ সালে রচনা করেছিলে লালসালু নামক শ্রেষ্ঠ উপন্যাসটি। এই উপন্যাসটির মাধ্যমে লেখক তৎকালীন বাংলাদেশের বিরজমান নানান অংসগতি ও কুসংস্কার তোলে ধরেছেন এবং একই সাথে এই কুসংস্কার ভেঙ্গে ফেলার ও চেষ্ঠা করেছেন।
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লালসালু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল ভন্ড মজিদ। তাকে কেন্দ্র করেই লালসালু উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে লালসালু উপন্যাসের মূলভাব বিস্তারিত ভালো আলোচনা করা হয়েছে।
উপন্যাসের শুরু: শ্রাবণের শেষে এক বাতাসহীন নিস্তব্ধ এক গোমট আবহাওয়ার এক দুপুরে মহব্বত নগর গ্রামে মজিদেরর প্রবেশের নাটিকীয় দৃশ্যটির মধ্যমে তার ভণ্ডামি ও প্রতারণার মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠে। মহব্বত নগর গ্রামের দুই যুবক তাহের ও কাদের কোচ জুতি নিয়ে ধানক্ষেতে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করছিল।
তারাই প্রথম মতিগঞ্জের সড়কের ওপরে আকাশের পানে হাত তুলে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িনো অবস্থায় মজিদকে দেখতে পায়। তার নটকীয়তার কারণ হল গ্রামের মানুষ সাধারণ ঘটনাকে পছন্দ করে না। তাই নাকটিকীয়তার মধ্যে দিয়ে লেখক উপন্যাসের তার আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। সে তার নাটকীয়তার অংশ হিসেবে সে খুঁজে বের করে গ্রাম থেকে একটু বাইরে একটা বড় বাঁশ-বাগান।
বাঁশ ঝাঁড়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত পকুর ছিল। আর পুকুরের পাশেই অবস্থিত ছিল ভাঙ্গা প্রাচীর যুক্ত একটি কবর। মজিদ এই কবরটি মোদাচ্ছের পীরের কবর বা মাজার বলে দাবি করে এবং এই কবরকে ঘিরে সে গোড়ে তুলে তার ভণ্ডামির আখড়া। লালসালু উপন্যাসের মূলভাব এর অন্যতম অংশ এটি।
মজিদ মহব্বত নগর গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমে সে গ্রামের মোড়ল খালেক ব্যাপারীর বাড়িতে চলে যায় এবং সে সেখানে সবাইকে চিকৎকার করে বা উচ্চস্বরে বলতে থাকে যে, আপনারা সবাই 'জাহেল', 'বেএলেম', 'আনপাড়াহ্’ সহ বিভিন্ন কঠাক্ষমূলক কথা বার্তা বলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এরপরে সে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে যে এ রকম একজন কামেল পীরের মাজারকে এভাবে অবহেলায় অযত্নে ফেলে রাখা শুধু পাপ নয় মহাপাপ। মজিদের এ ধরনের কথা শুনে গ্রামের মোড়ল খালেক ব্যাপারী সহ গ্রামের সবার লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। মজিদ তাদের আরও বলে সে গারো পাহাড়ে শান্তিতে বসবাস করত।
কিন্ত তাকে স্বপ্নের মাধ্যমে এ গ্রামে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই সে সব কিছু ফেলে এ গ্রামে ছুটে এসেছে। কেননা এ গ্রামে মোদাচ্ছের পীরের মাজার পরম অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। আর এই মাজারের খেদমত করার জন্যই সে গারো পাড়ার থেকে মহব্বত নগর গ্রামে চলে এসেছে।
এরপরে সে গ্রাম বাসীর সহযোগিতা নিয়ে কবরের আশেপাশের জঙ্গল গুলো কেটে পরিষ্কার করল এবং কবরটি ভালো মতো নতুন করে বাঁধায় করল। এরপরে আগরবাতী ও মোমবাতি জ্বালো হল যার ফলে সেখানে এক নতুন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সবশেষে সে কবরের উপরে লালসালু কাপড় টানিয়ে দিল।
এরপরে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন মাজারে আসতে শুরু করল এবং তাদের মনের আশা গুলো কবরে শুয়ে থাকা মৃত ব্যক্তিকে শোনাতে থাকল। আর যাওয়ার সময়ে সবাই টাকা-পয়সা সহ বিভিন্ন জিনিস মাজারে দিয়ে যেতে থাকল। এতে করে মজিদের ভণ্ডামি ব্যবসার যাত্রা শুরু হল।
লোকজনের মাজারে দানকৃত অর্থের মাধ্যেমে খুবই অল্পদিনের মধ্যে মজিদ নতুন ঘর বাড়ি তৈরি করল এবং অনেক জমিজামাও কিনল। সেই সাথে গ্রামে লোকজন মজিদকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতে শুরু করে। সে হইতো ভা খালেক ব্যাপারীকেই ভয় পায়, তাই সে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে সর্বদায়।
এরপরে তার পছন্দের পাত্রী রহিমাকে সে বিয়েও করে। রহিমা দেখতে লম্বা চওড়া, শক্তিশালী নারী হলেও সে ছিল স্বামী অনুগামী। এতে করে নারীদের মাঝে রহিমার কদর দিন দিন বাড়তে থাকে। আর মহিলারা তো আর সরাসরি মজিদের কাছে আর্জি পেশ করতে পারেনা, তাই মহিলারা রহিমার কাছে তাদের ফরিয়াদ বা আর্জি জানায়।
এদিকে আবার তাহের ও কাদেরর মা বাবার বয়স হয়েছে। কিন্তু বয়স হলেই বা কি এই বুড়ো বয়সেও তাদের ঝগড়াঝাটি না কমে দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং তা শালীনতা ছাড়িয়ে অশ্লীলতায় গিয়ে পৌঁছিছে। বুড়ো আবার এককালে মারপিটের ওস্তাদ ছিল কিন্ত বয়সের ভারে তার আর সে শক্তি নেই। কিন্তু বুড়ির বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখের ধারটাও যেন বেড়ে চলেছে।
তাদের ঝগড়া শুনে গ্রামের লোকজন হাসাহাসি তো করে। সেই সাথে তাদের বিধবা মেয়েও আঁচলে মুখ লুকিয়ে সেও হাসে। ঝগরার সময় বুড়ি বলে তার পেটে যে সন্তান গুলো জন্মেছে সেগুলো নাকি বুড়োর নয় আবার ওই ক্ষমতাও নাকি কোনোদিন বুড়োর ছিলনা। এটা শুধু ঝগড়া নয় এ যেন এক এলাহী কাণ্ড।
কোনো এক ঘটনার প্রেক্ষিতে বুড়ো মেয়েকে-হাসুনির মাকে- পিটিয়েছিল। যার ফলে মজিদ ভরা মজলিসে তাকে অপমান করে। আর এসব অপমান দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বুড়ো কোনো এক সন্ধ্যায় নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এতে করে যে বুড়ি তাকে প্রতিদিন বিভিন্ন অকর্থ্য ভাষায় গাল মন্দ করত সেও একসময় স্তব্ধ হয়ে যায়। সেও শিশুর মতো আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকতে থাকে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর নাম।
হাসুনির মা বিধবা। সে মজিদের স্ত্রী রহিমাকে জানিয়েছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মানুষ নয়। এদিকে বাবাও নিরুদ্দেশ। ভাইয়েরাও অপদার্থ। সে একা নয় তার সাথে রয়েছে তার শিশু পুত্র। তাই সে রহিমার সহযোগিতায় মজিদের বাড়িতে কাজ নেয়। আর রহিমার ঘরের কাজগুলো করতে সহায়তা করে থাকে।
মজিদ হাসুনির মাকে বিটি বা মেয়ে সম্বোধন করার পরেও মজিদের কুদৃষ্টি তার উপরে পড়ে। আর মজিদের এই আদিম আবেক শেষ পর্যন্ত আর চাপা থাকেনি। হাসুনির মা ও রহিমা দুই জনেই বুঝতে পারার পরেও তারা কোনো প্রতিবাদ করে না। বরং দুইজনেই না বোঝার ভান করে থাকে। লালসালু উপন্যাসের মূলভাব অন্যতম অংশ এটি।
এভাবে মজিদের দিন আনন্দে কাটছিল। ঠিক সেই সময় বয়স্ক পীর পাশের গ্রাম আওয়ালপুরের তাশরিফ নিলেন। সেই পীরের মুরিদ ছিলেন ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলুব খাঁ। পীর সেই গ্রামে আশ্রয় নিলেন। সেই সাথে তার উর্দু ভাষা আয়ত্তে ছিল। তার বোলচালে বা আচার আচরনে আওয়ালপুরের লোকজন মুগ্ধ হয়ে যায়।
এতে করে মজিদের একচ্ছত্র আধিপত্য ক্ষুণ্ণ হতে চলেছে। এসব দেখে মজিত তার প্রতিদ্বন্দ্বী পীরকে হঠাতে সে নিজেই আওয়ালপুরে গিয়ে তার সামনে উপস্থিত হয়। সে সেখানে গিয়ে দেখে যে বয়স্কপীর ফার্সি ভাষায় বিচিত্র সুরে ওয়াজ করছেন। আর সেই ওয়াজের ময়দানে উপস্থিত লোকজন অর্থ না বুঝে হাউ মাউ করে কাঁদে।
সেই পীর সাহেব দফায় দফায় ওয়াজ করছেন। কিন্তু ওইদিকে জোহরের নামাজের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। এতে কেউ কোনো আপত্তি করেনা। কেননা তার মুরিদরা বিশ্বাস করে যে, তাদের পীর এ কামেল সূর্যকে ধরে রাখার ক্ষমতা পেয়েছেন। তিনি যতক্ষণ না সূর্যকে হুকুম দিবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সূর্য একটুও নড়বেনা।
এদিকে জোহুরের নামাজের সময় গড়িয়ে যাবার পরে আসরের নামাজের সময়ে যখন সবাই জোহরের নামাজ পড়ার জন্য কাতারবদ্ধ হয়, ঠিক সেই সময় মজিদ উচ্চস্বরে বলে ওঠে- "যত সব শয়তানী, বেদাতী কাজ কারবার। খোদার সঙ্গে মস্করা।" কিন্তু সে নিজেও এতো দিনে এসব কাজ করে আসছে। কিন্তু আজ তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্বল করতে সে এসব কথা বলে।
এসব কথা বলার সময় মজিদ পীর সাহেবের মুরিদদের সঙ্গে বাক-যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যায়। অবশেষে মজিদ তার মুরিদদের নিয়ে মহব্বত নগর গ্রামে চলে আসে। এসব ঘটনায় মহব্বত নগর গ্রামের লোকজন কিছুটা দ্বিধা দন্দের মধ্যে পড়ে যায়। কেননা একদিকে মোদাচ্ছের পীরের প্রতি ভয় বা মজিদের প্রতি আনুগত্য অন্যদিকে বয়স্ক পীর সাহেবের প্রতি কৌতূহল ও মোহ।
মজিদ মহব্বত নগর গ্রামে ফিরে এসে রাতে খালেক ব্যাপারীকে সাথে নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে এবং সে সেখানে সবার উদ্দেশ্যে বলে যে, নতুন আগত পীর সাহেব একজন ‘মনোমুগ্ধকর শয়তান’। তাই সে সবাইকে পরামর্শ দেয় সেই পীর মজলিসে কেউ যেন না যায়।
কিন্ত মজিসের আদেশ অমান্য করে কয়েকজন যুবক সেখানে যায় এবং এর প্রেক্ষিতে আওয়ালপুরের লোকজন অর্থাৎ আগত বষস্ক পীরের মুরিদরা তাদেরকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এতে করে তারা আহত হয়ে গেলে, পরবর্তীতে তাদেরকে পার্শবর্তী করিমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে আবার গ্রামের মোড়ল খালেক ব্যাপারীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম আমেনা বিবি এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম হল তনু বিবি। কিন্তু আমেনা বিবি তের বছর বয়সে সে তার ঘরে এসেছে এখন তার বয়স ত্রিশ।। তারপরেও তার কোনো বাচ্চা হয় না। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী বছর বছর সন্তান জন্ম দিয়েই যাচ্ছে তো যাচ্ছেই।
এদিকে কানাঘোষা হচ্ছে যে আওয়ালপুরের পীর সাহেবের পানি পড়া খেলে পেটে বাচ্চা আসবে। কিন্তু আওয়ালপুরের পীর সাহেবের সাথে মজিদের ঝামেলা হওয়ার জন্য সেখানে যাওয়া জন্য নিষেধ করা হয়েছে সবাইকে। কিন্তু আমেনা বিবি এসব কথা শুনতে নারাজ। তার পানি পড়া চাই-ই-চাই। এতে করে গোপনে খালেক ব্যাপারী রাজি হয়।
আওয়ালপুরের পীর সাহেবের কাছ থেকে পানি পড়া আনার জন্য খালেক ব্যাপারীরে সম্বন্ধী ও তানু বিবির বড় ভাই ধলা মিঞাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ধলা মিঞা একজন ধুরন্ধর ও প্রতারক শ্রেণির লোক কিন্তু দেখলে মনে হবে সে বোকা কিসিমের লোক। সে খালেক ব্যাপারীর বাড়িতেই থাকে এবং খায়। সে পানি পড়া এনে দিবে বললেও প্রকৃত পক্ষে সেটা সে করে না।
সে সোজা মজিদের কাছে চলে যায় এবং তাকে পানি পড়া দিতে বললে মজিদ তার কথায় অপমানিত হয়। তারপরে তাকে টাকার কথা বললেও সে পানি পড়া দেয়না। ধলা মিঞা মজিদের কাছে গেছে তারমানে এই নয় যে সে মজিদের অনুগত। এর মূল কাহিনী হল সে একজন অলস, অকর্মণ্য প্রকৃতির মানুষ।
আবার কথায় আছে যে, আওয়ালপুর ও মহব্বত নগর দুই গ্রামের মাঝখানে এক মস্ত বড় তেঁতুলে গাছ। সবাই সেই গাছটাকে ভূতড়ে গাছ বলে রাত বিরাতে কেউ সেখানে সেদিকে যেতনা। কিন্তু আওয়ালপুরে গেলে ঐ গাছটির নিচ দিয়েই যেতে হবে তাই সে তা কৌশলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে বিষয়টি। কেননা ধলা মিঞা একজন ভীতু প্রকৃতির মানুষ ছিল।
এসব ঘটনা ফাঁস হলে গেলে খালেক ব্যাপারী ও মজিদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তখন খালেক ব্যাপারী মজিদকে এ ব্যাপারে উদ্যেগ গ্রহণ করতে বলে। আর তখন মজিদ কৌশলের আশ্রয়। সে বলে আমেনা বিবির পেটে বেড়ি পড়েছে, তাই সন্তান হচ্ছে না, তার পেটে নানা মাপের বেড়ি পড়ে আছে।
সে আরও জানায় যে, সে আমেনা বিবির পেটে একুশ পর্যন্ত বেড়ি দেখেছে। সাত বেড়ি হলে খোলা যায়।কিন্তু তার বেশি হলে সম্ভব হয়ে উঠেনা। যদি তার পেটে সাত বেড়ি পড়ে থাকে তাহলে আমেনা বিবিকে পানি পড়া খেয়ে মোদাচ্ছের পীরের মাজার সাত পাক ঘুরতে হবে বলে মজিদ তাদের জানায়।
নির্ধারিত দিনে আমেনা বিবি রোজা রাখে। উদ্বেগে-ভয়ে-ক্ষুধায় তার শরীর মন সব দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে মাজারে তিন পাক ঘুরতেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়, সে আর সাত পাক ঘুরতে পারেনা। আর এই সুযোগে মজিদ বলে যে আমেনা বিবি অসতি, তাই সে মাজারে সাত পাক ঘুরতে পারেনি।
সে আরও বলে খালেক ব্যাপারী যেন আমেনা বিবিকে আর ঠাঁই না দেয়। আর এ সব কথা শুনে মজিদের হাতের পুতুল খালেক ব্যাপারী তার প্রথম স্ত্রী আমেনা বিবিকে তালাক দিয়ে দেয়।
এদিকে গ্রামে গুঞ্জন ওঠেছে যে, মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাস সে গ্রামে স্কুল তৈরি করবে। সে দীর্ঘ দিন বিদেশে ছিল। সে করিমগঞ্জ স্কুলে বেশ কিছু দিন পড়াশোনাও করেছে। তারপরে সে পাটের আড়তে না তামাকের আড়তে চাকরি করে টাকা পয়সা উপার্জন করেছে। সে শিখে এসেছে যে স্কুলে না গেলে মুসলমানদের মুক্তি নেই।
এসব বিবেচনা করে সে স্কুল তৈরির জন্য সে চাঁদা তুলতে শুরু করে এবং সরকারে কাছে স্কুলের জন্য সাহায্য চেয়ে একটি দরখাস্তও পাঠিয়েছে। কিন্তু ধূর্ত মজিদ এসব মেনে নিতে পারেনা। কেননা গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা হলে নবীনরা বুঝতে শিখবে। এতে করে তার আর ধর্ম ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সে আক্কাসকে ঠেকাতে উঠে পড়ে লাগলো।
তাই সে এক সন্ধ্যার পরে বৈঠক ডাকে এবং সেই বৈঠকে আক্কাসের বাবা মোদাব্বের মিঞাকেও ডাকা হয়। ভরা বৈঠকে মজিদ চড় মারার ভঙ্গিতে তাকে প্রশ্ন করে ‘তোমার দাড়ি কই মিঞা? তুমি না মুসালমানের ছেলে-দাড়ি কই তোমার?” খালেক ব্যাপারী বলে: “হে নাকি ইংরাজি পড়ছে। তা পড়লে মাথা কি আর ঠান্ডা থাকে?”
সেই বৈঠকে সিন্ধান্ত নেওয়া হয় গ্রামে পাকা মসজিদ তৈরি করা হবে এর জন্য সবাই জেনো সাধ্যমতো চাঁদা দেয়। এদিকে আক্কাস তার স্কুলের কথা তুললেও তা চাপা পড়ে যায় সেই বৈঠকে। এমনকি তার বাবাও তার উপরে বিরক্ত হয়ে ওঠে বলে “চুপ কর ছ্যামড়া, বেত্তমিজের মতো কথা কইসনা।" এসব দেখে আক্কাস বৈঠক থেকে চলে যায়।
এদিকে মজিদের নতুন নেশা পেয়ে বসেছে। সে চায় তার জীবনকে উপভোগ করতে। সে চায় আবার বিয়ে করতে। তাই সে বিভিন্ন কথা বলে তার স্ত্রী রহিমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। সে বলে-“বিবি আমাগো যদি পোলাপাইন থাকতো।” আবার কখনো বলতো-“বিবি, আমাগো বাড়িটা বড়ই নিরানন্দ। তোমার একটা সাথী আনুম?”
এরপরে মজিদ জামিলা নামের একটি বালিকাকে বিবাহ করে ঘরে আনে। রহিমা জামিলাকে সতিন হিসেবে না দেখে নিজের মেয়ের মতো করে দেখে। তাকে আদর যত্ন করে, পাশে বসে খাওয়া। জামিলা খুবই হাসি খুশি প্রকৃতির একজন মেয়ে। জামিলা রহিমাকে বলে যে- সে মজিদকে প্রথমে তার শ্বশুর ও রহিমাকে শ্বাশুড়ি ভেবেছিল।
এ কথা বলে তারা হাসতে লাগে। তখন রহিমা জামিলাকে বলে এ বাড়িতে অর্থাৎ মজিদের বাড়িতে মেয়ে মানুষের তথা যেকোনো মানুষের উচ্চস্বরে হাসাও নিষেধ। কেননা মজিদ তা সহ্য করতে পারেনা। মজিদ একজন ধূর্ত, ভণ্ড ও কঠিন প্রকৃতির মানুষ। সে লক্ষ্য করে জামিলা নামাজ পড়েনা। তাই সে রহিমার মাধ্যমে তাকে নামাজের তাগিদ দেয়।
মজিদের বলার পরে থেকে সে নামাজ পড়ে কিন্তু সন্ধ্যা হলে সে ঘুমিয়ে পড়ে। যার ফলে এশার নামাজ ঠিক মতো আদায় করতে পারেনা। কিন্তু আজ তার মাগরিবের নামজ পড়ার পরে ঘুম আসলেও সে এশার নামাজ পড়ে তারপরে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে যায়। এদিকে মজিদ ঘরে এসে ডাকতে শুরু করে ও টান মেরে বিছানা থেকে তুলে বসায়।
তবুও সে বলেনা যে সে এশার নামাজ পড়ে তারপরে শুয়েছে। এরপরে মজিদ জামিলার উপরে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি হতে থাকে। জমিলা তার উপরে হওয়া নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মজিদের মুখের উপরে থুথু নিক্ষেপ করে। এতে মজিদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।
এরপরে উপন্যাসটির শেষ অংশে দেখা যায়, মজিদ জামিলাকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার নামে একাকী ঝড়ের রাতে মাজারের সাথে জামিলাকে বেঁধে রাখে। মেয়েতা একাই পড়ে থাকে মাজারের খোলা প্রাঙ্গনে। সেই রাতে সারা রাত ভয়ঙ্কর শীলা বৃষ্টি হয়। এ করে সে ভীষণ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
সকালে এসে সে দেখতে পায় যে, জমিলা কবরের পাশে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে । তার একটা পা কবরের গায়ে লেগে আছে। তখনও সে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে আছে। এসব দেখে তার অনুগত প্রথম স্ত্রী রহিমা, সেও ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করে।
এতে করে মজিদ দেখতে পায় যে হাতে সব ধরনের অস্ত্র থাকার পরেও সে আজ পরাজিত একজন সৈনিক। সমাজে সে একজন রাজাধিরাজ হয়েছে কিন্তু সে নিজের ঘরে আজ পরাজিত, উদ্বাস্তু, গৃহহীন, অনাথ। লালসালু উপন্যাসের মূলভাব এগুলোই।
লালসালু উপন্যাসের চরিত্রসমূহ
লালসালু উপন্যাসের মূলভাব জানার পূর্বে লালসালু উপন্যাসের চরিত্রসমূহ গুলো জেনে নিন-
মজিদ: লালসালু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম হল মজিদ। তাকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের সকল ঘটনাগুলো বর্ণনা করা হয়েছে। মজিদ চরিত্রটি একটি ভন্ড, প্রতারক, ধূর্ত, কুসংস্কারের প্রতীক। উপন্যাসের সে মহব্বতনগর গ্রামে নাটকীয়তার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং সেখানে সে নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
রহিমা: লালসালু উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মজিদের প্রথম স্ত্রী হল রহিমা। সে মহব্বতনগর গ্রামেরই একজন মেয়ে। রহিমা তার স্বামী মজিদের খুবই অনুগত। সেই সাথে রহিমা ঠান্ডা, ভীতু এবং স্বল্পভাষী প্রকৃতির একটি মেয়ে। সে মজিদের সাথে বারো বছর সংসার করেছে।
জামিলা: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী হল জামিলা। সে খুবই চঞ্চল প্রকৃতির একজন মেয়ে। মজিদের অস্বাভাবিক ভণ্ডামি আচারন তার ভালো লাগেনা। এমন কি জিকিরের সময় সে বাড়ি থেকে বাহিরে বেরিয়ে আসতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে মজিদ তাকে ঝি সম্বোধন করে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং তাকে জ্বীনে আছর করেছে বলে তাকে মাজারের সাথে আটকে রাখে।
খালেক ব্যাপারী: উপন্যাসে খালেক ব্যাপারী একজন প্রতিনিধি চরিত্র। কেননা তার গ্রামের সকল দায়িত্ব তার কাঁধের উপরে। সেই সাথে সে মজিদের অন্যতম সহায়ক। গ্রামে মসজিদ নির্মাণের জন্য সে বারো আনা খরছ দিয়েছিল।
আমিনা: উপন্যাসের প্রতিনিধি চরিত্র খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী হল আমিনা। আমিনা চরিত্রটি রূপবতী হলেও নিঃসন্তান । তাই সে সন্তান লাভের আশায় আউয়াল্পুরের পীরের পানি পড়া খেতে চাই। কিন্তু মজিদ বিষয়টি জানতে পেরে তার উদ্দেশ্য হাচিলের জন্যে খালেক ব্যাপারী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করে।
তানু: উপন্যাসে মজিদের সহচর খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী হল তনু। সে প্রতি বছর সন্তান জন্ম দেয়। তাই আমিনা বিবি তা সহ্য করতে পারেনা।
পীর সাহেব: লালসালু উপন্যাসের একটি চরিত্র হল পীর সাহেব। সে আউয়ালপুরের পীর। তিনি ময়মংসিংহের এক অঞ্চলে বংশনাক্রমে বসবাস করেন। যৌবনে তার চোখে আগুন ছিল এবং সে গাছে উঠে বসে থাকে। এই পীরের মুরিদের ধারনা ছিল যে তাদের পীর সুর্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারেন।
কিন্তু মহব্বতনগরের লোকজন আওয়ালপুরের আক্রমণ করলেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করেন এবং উদারতা দেখিয়ে বলেন যে, কুত্তা তোমাকে কামড় দিলে তুমিও কি তাকে কামড়াবে?
ধলা মিয়া: উপন্যাসে প্রতিনিধি চরিত্র খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী তনু বিবির ভাই। সে বোকা কিছিমের মতো।
মোদাব্বের মিয়া: মোদাব্বের মিয়া হলেন আক্কাসের বাবা। তিনি রেগে গেলে তোঁতলায়।
আক্ককাস: মোদ্দাব্বেরের ছেলে হল আক্কাস। সে গ্রামের শিক্ষিত ছেলে। সে অনেক দিন বিদেশে ছিল। বিদেশে চাকরি করে টাকা জমিয়ে সে দেশে ফিরেছে। সে গ্রামে স্কুল বানাতে চায় কিন্ত মজিদ তা হতে দেয় না।
দুদু মিঞা: লালসালু উপন্যাসের দুদু মিঞা হলেন সাত ছেলের বাপ। মজিদ তাকে কালেমা নার কথা জিজ্ঞেস করলে সে ঘাড় ঘুরে আধাপাকা মাথা চুলকায় এবং তার চোখে মুখে লজ্জার ছাপ। যেন সে উম্মাদ।
নানি-বুড়ি: দুদুমিয়ার ছেলেরা বাপের অবস্থা দেখে খিলখিল করে হাসে এবং বাপের মাথা নত করার ভঙ্গিটা তাদের কাছে মনে হয় গাধার ভঙ্গির মতো।
হাসুনির মা: আগামী বছর যখন খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী তানু বিবি নতুন এক আগুন্তক বা নতুন এক সন্তান ট্যাঁ ট্যাঁ করবে তখন তার ডাক পরবে।
বুড়ো: তাহের, কাদের, রতন ও হাসুনির মা তার সন্তান।
বুড়ি: তাহের ও কাদেরর মা।
তাহের-কাদের: হাসুনির মার ভাই।
রতন: তাহের ও কাদের কনিষ্ঠ বা ছোট ভাই।
সলেমানের বাপ: উপন্যাসের প্রধান চরিতে মজিদের সভায় অশীতিপর বৃদ্ধ সলেমনের বাপও ছিল এবং সে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত ছিল।
কানুর বাপ: উপন্যাসে মজিদকে এক ছিলিম তামাক এনে দেয় কুনুর বাপ।
মতলব খাঁ: উপন্যাসের ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং পীর সাহেবের পুরানো মুরিদ।
জনৈক লোক: উপন্যাসে যাকে মজিদ ধানের কথা জিজ্ঞেস করেছিল।
খোনকার মোল্লা: লালসালু উপন্যাসের খোনকার মোল্লা জানাযার নামাজ পড়ায় এবং তার বাড়ির সামনে মূর্তি নজরে পড়ে।
সরকারি কর্মচারী: তিনি ভিতরে মুসলিম এবং বাহিরে বিদেশি।
রেহান আলি: লালসালু উপন্যাসে রেহান আলি একজন গ্রামের মাতাব্বর।
জোয়ান মদ্দ কালু মতি: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ গালাগাল করলে জোয়ান মদ্দ কালু মতি মাথা নিচু করে রাখে।
ছমিরুদ্দিন: উপন্যাসে কোঁচ বিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
খ্যাংটা বুড়ি: উপন্যাসের বর্ণনা অনুযায়ী খ্যাংটা বুড়ির মাথার চুল শনের মতো। সাত কূলে তার কেউ নাই। তার ছেলে যাদুর মৃত্যু হলে সে মাজারে এসে বিলোপ করে এবং খদার বিরুদ্দে অভিযোগ করে। সে পাঁচ পয়সা মজিদের দিকে ছুড়ে দে ও তার সন্তানকে ফেরত চায়। মজিদ তাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়।
মোদচ্ছের পীর: উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মজিদের যত ভন্ডামি, অভিনয় ও আধিপত্যবিস্তার সব কিছুই এই মোদচ্ছের পীরকে কেন্দ্র করে। মোদচ্ছের পীর এর অর্থ হল নাম না জানা পীর।
কম্পাউন্ডার: মজিত করিমগঞ্জ হাসপাতালে তাকে দেখে ডাক্তার মনে করে।
কালু মিঞা: আউয়াল পুরের সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তার মাথা দুই ফাক হয়ে যায়।
ছুনুর বাপ: উপন্যাসে সে মরণ যন্ত্রণা পাচ্ছে এবং রহিমা তার জন্য দোয়া করে।
খেতানির মা:পক্ষাঘাতে কষ্ট পাচ্ছে এবং এখানেও রহিমা তার জন্য দোয়া করছে।
লালসালু উপন্যাসের মজিদ চরিত্র
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লালসালু উপন্যাসের মজিদ চরিত্র হল- লালসালু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাকে কেন্দ্র করে লালসালু উপন্যাসের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্র
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্র হল- এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী।
লালসালু উপন্যাসের ধলা মিয়া কে
লালসালু উপন্যাসের ধলা মিয়া কে এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, হল গ্রামের মোড়ল খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী তানু বিবির বড় ভাই।
লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কি
লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কি এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল-
সৈয়দ ওয়ালী ওল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হল- লালসালু উপন্যাস। এই জনপ্রিয় উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অ্যান-মারি-থিবো, জেফ্রি ডিবিয়ান, কায়সার সাঈদ এবং মালিক খৈয়াম।
কিন্তু সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ নিজেই লালসালুর ইংরেজি অনুবাদের সম্প্রসারনের কাজ করেছিলেন।লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের Chatto অ্যান্ড Windus লিমিটেড থেকে ১৯৬৭ সালে ট্রি উইদাউট রুটস (Tree Without Roots) শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী এই উপন্যাসটি আরবি, জাপানি, ইন্দোনেশীয় ও জার্মানিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশিত করা হয়েছে।
মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কি?
মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কি এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম হল রহিমা।
মজিদের মুখে থুতু দিয়েছিল কে?
মজিদের মুখে থুতু দিয়েছিল কে এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- তার দ্বিতীয় স্ত্রী জামিলা।
লালসালু উপন্যাস কি ধরনের?
লালসালু উপন্যাস কি ধরনের এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- লালসালু একটি সামাজিক উপন্যাস।
লালসালু উপন্যাসের ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কি
লালসালু উপন্যাসের ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কি এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এর উত্তর হল- মতলুব খাঁ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে লালসালু উপন্যাসের মূলভাব, লালসালু উপন্যাসে বর্ণিত বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে জেনে গেছেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আরও জেনেছেন উপন্যাস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে বর্ণিত কোনো তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
আর এরকম নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইট www.kanon24.com নিয়মিত ভিজিট করুন। এতোক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url