অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সেবনবিধি

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য।
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে আরও আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে এই অর্জুন গাছের ছাল সংগ্রহ করবেন এবং কিভাবে খাবেন এসব সহ অর্জুন গাছ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।.

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা

আজকের আর্টিকেলে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। সর্বপ্রথমে জেনে নিন অর্জুন গাছের ছালের সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য সমূহ-
  • হার্টের সমস্যা দূর করে;
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে;
  • ক্যান্সার রোধ করে;
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে;
  • অ্যাজমা সমস্যা দূর করে;
  • বুক ধরপড়;
  • অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করে;
  • কাশি দূর করে;
  • রক্ত আমাশয় ভালো করে;
  • কানের ব্যথা দূর করে;
  • ক্ষত বা যা ভালো করে;
  • ফোঁড়া ভালো করে;
  • মুখ, জিহ্বা এবং মাড়ির ব্যথা দূর করে;
  • প্রসাবের বাধা দূর করে;
  • প্রদাহ হ্রাস করে;
  • ত্বক ভালো রাখে;
হার্টের সমস্যা দূর করে: অর্জুন গাছের ছাল হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে হাতের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ব্যথা সহ হাটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান করে থাকে এই মহামূল্যবান অর্জুন গাছের ছাল। এমন কি পোকের মত ঝুঁকিও অনেক অংশে কমিয়ে দিয়ে থাকে এই গাছের ছাল। যার ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
হার্টের সমস্যা দূর করার জন্য প্রথমে আপনাকে অর্জন গাছের ছাল এবং বন্য পেঁয়াজ নিতে হবে। তারপরে উপাদান দুটি ভালো মতো চূর্ণ বা পাউডার করে নিতে হবে। এরপরে তৈরি কৃত চূর্ণ হাফ চা চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপরে পান করতে হবে। এতে করে আপনার হৃদপেশী শক্তিশালী হবে।

ফলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে সেই সাথে হার্টের সকল ধরনের সমস্যা দূর করে দিবে এই মিশ্রণটি। সুতরাং আপনি যদি আপনার হার্ট ভালো রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত এই অর্জুন গাছের ছাল খেতে পারেন। এতে করে আপনার হার্ট সুস্থ্য থাকবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অর্জুনের ছাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠে সহায়তা করে থাকে। কেননা অর্জুনের ছাল বা বাকল নিয়মিত সেবন করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টরল দূর হয়ে যায়। এতে করে রক্ত চলাচলের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে আপনাকে নিয়মিত এক চা চামচ অর্জুনের পাউডার বা চূর্ণ নিতে হবে এবং দুই গ্লাস পরিমান পানির মধ্যে দিয়ে চুলায় গরম করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুই গ্লাস পানি এক গ্লাস হয়ে না যায়। এর পরে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় এই পানি পান করতে পারেন, এতে করে আপনার উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ক্যান্সার রোধ করে: অর্জুন গাছের বাকল সেবন করলে ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধিকে দূরে রাখা যায়। কেননা অর্জুনের ছালে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মানবদেহে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনকি এই অর্জুনের ছাল সেবনের ফলে শরীর থেকে ফ্রি Radicals দূর করে দিয়ে থাকে।
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
এতে করে ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি হওয়ার প্রবণতা দূরে চলে যায়। সুতরাং আপনি যদি ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধিকে দূরে রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত এই অর্জুনের ছাল বা বাকলের পাউডার বা চূর্ণ সেবন করতে পারেন। অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: আপনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আপনি চাইলে এই অর্জুনের ছাল বা বাকল সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাবে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং একই সাথে এটি ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
তবে আপনার ডায়াবেটিস যদি উঠা নামা করে তাহলে অবশ্যই এই অর্জুনের ছাল সেবন করার পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন, তারপরেই এই অর্জুনের ছাল বা বাকল সেবন করবেন।

অ্যাজমা সমস্যা দূর করে: আপনি যদি অ্যাজমার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত প্রতিদিন অর্জুন ছালে বা বাকলের পাউডার সেবন করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে প্রথমে ১২ গ্রাম পরিমান অর্জুনের ছালের পাউডার ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বুক ধরপড়: অনেক সময় আমাদের মধ্যে অনেকেরই বুক ধড়পড়ের মতো সমস্যা হয়ে থাকে অথচ উচ্চরক্ত চাপ থাকেনা। সুতরাং আপনি দি এ সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই অর্জুন গাছের ছাল বা বাকল সেবন করতে পারেন, এতে করে আপনার বুক ধরপড়ের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অর্জুনের ছাল বা বাকল নিতে হবে( কাঁচা ছাল ১০-১২ গ্রাম এবং শুকনো হলে ৫-৬ গ্রাম নিতে হবে)। এরপরে ২৫০ মিলি দুধ এবং ৫০০ মিলি পানি নিয়ে মিশ্রণ করে গরম করতে হবে। এরপরে ১২৫ মিলির মতো হয়ে গেলে ভালোমতো ছেঁকে নিন।

অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করে: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন বা মেদের সমসস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়ম্নিত অর্জুনের ছাল সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে। ফলে আপনার ওজন দ্রুতই হ্রাস পাবে। এতে করে আপনি সুস্থ্য ও ফিট থাকবেন। অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

রক্ত আমাশয় ভালো করে: রক্ত আমশয় খুবই জটিল একটি সমস্যা। আর আপনি যদি এ সমস্যার সম্মূখীন হয়ে থাকেন এবং এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনি চাইলে নিয়মিত এই অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার রক্ত আমশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

রক্ত আমশয় দূর করতে হলে প্রথমে আপনাকে ৪-৫ গ্রাম পরিমান অর্জুন ছালে পাউডার নিতে হবে। এরপরে ছাগলের দুধ নিতে হবে। এরপরে দুধ এবং অর্জুনের ছালের পাউডার ভালো মতো মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপরে পান করুন। এতে করে আপনার রক্ত আমশয়ের মতো জটিল রোগ দূর হয়ে যাবে।

কানের ব্যথা দূর করে: অনেকের বিভিন্ন কারনে কান ব্যথা হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অর্জুন গাছের পাতার রস কানে দুই ফোটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার কানের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

ক্ষত বা যা ভালো করে: আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দূর্ঘটনার জন্য ক্ষত তৈরি হয়ে থাকে। আর এই ক্ষত দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো না হলে ইনফেশন হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আপনি যদি ক্ষত দ্রুত শুকাতে চান, তাহলে আপনি চাইলে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন, এতে করে আপনার ক্ষত দ্রুত তম সময়ে ভালো হয়ে যাবে।

ফোঁড়া ভালো করে: আমাদের শরীরে অনেক সময় বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া হয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ফোড়ার সমস্যা দূর করতে চান, তাহলে এই মহাঔষধি গুণাগুণ সম্পূর্ণ অর্জুন গাছের ছাল সেবন ও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ফোঁড়ার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

মুখ, জিহ্বা এবং মাড়ির ব্যথা দূর করে: অর্জুন গাছের ছাল মুখ, জিহ্বা এবং মাড়ির ব্যথা দূর করে করতে সহায়তা করে থাকে। এমনকি মাড়ি দিয়ে রক্তপাতের মত সমস্যাও ভালো করতে সহায়তা করে থাকে।

প্রসাবের বাধা দূর করে: অনেকের প্রস্রাব করার সময় বেঁধে যায়, ফলে সম্পূর্ণ প্রস্রাব একবারে হইনা। আর আপনি যদি এ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন এ থেকে মুক্তির জন্য অন্যতম একটি ঔষধ হতে পারে এই অর্জুন গাছের ছাল। যা আপনার প্রস্রাবের বাধা দূর করে প্রস্রাব স্বাভাবিক করে দিবে।

এরজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অর্জুন গাছের ছাল নিতে হবে এবং পিষ্ট করতে হবে। এরপরে পিষ্ট অর্জুন ছালের সাথে দুই কাপ পরিমান পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। যখন পানি অর্ধেক হয়ে যাবে তখন চুলা বন্ধ করে দিন এবং ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এবার পান করতে পারেন। এতে করে আপনার প্রস্রাবের বাঁধা দূর হয়ে যাবে।

প্রদাহ হ্রাস করে: অর্জুন গাছের ছাল প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি প্রদাহ দূর করতে চান, তাহলে এই অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিত সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার প্রদাহর সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা 

অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা হল অর্জুন গাছের শুধু ছাল নয় এর ফলেরও রয়েছে কিছু উপকারিতা। যা আয়ুরবেদ চিকিৎসায় বিভিন্ন রোগের উপশম হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে অর্জুন গাছের ফল খাওয়া উচিৎ নয়। এতে করে স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

অর্জুন পাতার উপকারিতা

অর্জুন পাতার উপকারিতা হল কানের ব্যথা হলে এই অর্জুন গাছের পাতা সেই ব্যথা ভালো করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই অর্জুন গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কানের ব্যথা দূর করার জন্য অর্জুন পাতার দুই ফোটা রস কানে ব্যবহার করতে পারেন, এতে করে কানের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিভিন্ন তথ্য জেনেছেন। এখন অর্জুন গাছের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন-

অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা

এই অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা বা পাশ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক। নিম্নে বর্ণনা করা হল-
  • গর্ভাবস্থায় অর্জুন গাছের ছাল খাওয়া উচিত নয়। এতে করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে খুবই সতর্কতার সাথে এই অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে হবে। তা না হলে ডায়াবেটি নিল হয়ে আপনার মৃত্যুও হতে পারে।।
  • অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার বা সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
  • এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারেন।

অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে নানান রোগের প্রতিষেধক। অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম হল-
আপনি অর্জুন গাছের ছাল রাতে ঘুমানোর পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকলে খালি পেটে পানি ছেঁকে পান করতে পারেন। এছাড়াও এই অর্জুন ছালের পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। আর এই অর্জুন ছাল খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলের বিভিন্ন অংশে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে অনুগ্রহ করে পড়ে নিবেন।

অর্জুন গাছের ছবি

কথায় আছে উপকারি মানুষের পিঠের চামড়া বা ছাল থাকেনা। ঠিক সেরকমই একটি গাছ হল এই অর্জন গাছ। অর্জুন গাছের ছালের রয়েছে নানা গুণাগুণ। যার ছাল পাওয়া মানে আপনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কেননা এই অর্জুন গাছের ছাল বিভিন্ন রোগ বালাই দূর করতে থাকে নিমিষেই। সেই সাথে যেকোনো রোগ সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতেও পারেনা।

কেননা একটি কথা প্রচলিত আছে যে, বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ থাকা আর একজন ডাক্তার বা চিকিৎস থাকা একই কথা। কেননা এই অর্জুন গাছ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সেই প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করা সহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে এই অর্জুন গাছ।

অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল টার্মিমিনেলিয়া অর্জুন। এই অর্জুন গাছেন বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়ে থাকে। যেমন- কুকুভ, নাদিসারজ এমনকি ধাওয়াল নামেও পরিচিত এই গাছ। এই অর্জুন গাছের পাতা দেখতে অনেকটাই পেয়ারা পাতার মতো। প্রধান প্রধান ঔষধি গাছ গুলোর মধ্যে এই অর্জুন গাছ অন্যতম।
এমনকি এই অর্জুন গাছ সেই প্রাচীনকাল বা আদিকাল থেকে হার্ট বা হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই আপনি যদি সুস্থ্য ভাবে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে চান, তাহলে এখন থেকেই এই মহা ঔষধি গুণাগুণ সম্পূর্ণ অর্জুন গাছের ছাল বা বাকল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
                                                        অর্জুন গাছের ছবি

অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি কি?

অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি কি এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশ না পড়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে পড়ে নিবেন এতে করে আপনি সকল তথ্যগুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

অর্জুন গাছের ছালের রস খেলে কি হয়?

অর্জুন গাছের ছালের রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন- উচ্চ রক্ত চাপ ভালো হয়, হার্ট ভালো থাকে ইত্যাদি।

অর্জুন গাছের ছাল কিভাবে খাবো?

অর্জুন গাছের ছাল কিভাবে খাবো এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চান, অর্জুন গাছের ছাল আপনি চাইলে পানিতে ভিজিয়েও খেতে পারেন। আবার এই ছাল দিয়ে পাউডার তৈরি করেও সেবন করতে পারেন।

অর্জুন গাছের কাঠ দিয়ে কি হয়?

অর্জুন গাছের কাঠ দিয়ে কি হয়- অর্জুন গাছের কাঠ খুবই শক্ত। যখন গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল। তখন অর্জুন গাছের কাঠ দিয়ে গরুর গাড়ির চাকা তৈরি করা হতো।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনেছেন। সুতরাং আপনি যদি উপরোক্ত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে উপরে বর্ণিত নিয়মে অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে পারে। এতে করে আপনি সুস্থ্য থাকবেন।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে পরিচতদের মাঝে শেয়ার করবেন।। আর আজকের আর্টিকেলের কোনো তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে অনুগ্রহ করে সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এতে করে আমরাও আমাদের ভুল সংশোধন করতে পারব।

প্রতিনিয়ত এরকম নিত্যনতুন তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইট www.kanon24.com নিয়মিত ভিজিট করন। আজকের আর্টিকেলটি আপনার মূলবান সময় ও ধৈর্য দিয়ে পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাকে জানায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;

comment url