গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা-ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আস- সালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গ্রিন টি আমরা অনেকেই পান করে থাকি। আবার অনেকেই আছেন যারা গ্রিনটি সম্পর্কে অতটাও অবগত নয়। তাই আজকের আর্টিকেলে গ্রিন টি সম্পকে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি গ্রীন টি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে গ্রিন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো মতো পড়ুন। এতে করে গ্রিন টি সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
ভূমিকা- গ্রিন টি
বর্তমানে চা একটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় গুলোর মধ্যে অন্যতম। র চা, মসলা চা, দুধ চায়ের পাশাপাশি বর্তমানে গ্রিনটিও খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পূর্ণ পানীয়। কিন্তু এই গ্রীন টি কে অন্যান্য সাধারন চা মতো মনে করলে ভুল ভাববেন। কেননা এই গ্রীনটির রয়েছে ব্যাপক উপকারিতা। যার জন্য এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর মূল কারন হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর যতো পানীয় আছে, সেগুলোর মধ্যে গ্রীন টির অবস্থান উপরের দিকে রয়েছে। নিয়মিত এই গ্রীনটি পানের ফলে শরীর ও মন ভালো থাকে। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে থাকে এই পানীয়। যার ফলে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ইসবগুলের ভুসি গোপন উপকারিতা।
আজকের আর্টিকেলে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সহ গ্রীন টি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং গ্রীন টি সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নিন আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে।
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
গ্রিন টির নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। গ্রিন টির উপকারিতা হল-
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- উচ্চ রক্তচাপের ঝুকি কমায়
- হৃদ রোগের ঝুকি কমায়
- সুগার নিয়ন্ত্রন করে
- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে
- সর্দিকাশি দূর করে
- ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে
- বার্ধক্যকে দূরে রাখে
- ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে
- চোখের ফোলা ভাব দূর করে
- চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দূর করে
- ত্বকের মৃত কোষ দূর করে
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করে
- ব্রণ দূর করে
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
- চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেননা এই গ্রীন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ঠ সহায়তা করে থাকে।
শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল: গ্রীনটি বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর ফ্ল্যাভোনয়েড যা শরীরকে প্রফুল ও সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং শরীর সতেজ রাখার জন্য আপনি চাইলে নিয়মিত গ্রীনটি পান করতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: গ্রিন টি থাকে পুষ্টি উপাদান আমাদের বদ হজম দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। কেননা নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে আমাদের আমাদের হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে। যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত হজম হয়।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে। এতে করে আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে এবং বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে থাকে।
ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়। কেননা এই গ্রিন টিতে বিদ্যমান রয়েছে থিয়ানিন নামক অ্যামাইনো এসিড। যা আমাদের মানসিক অবসাদ বা দুশ্চিন্তা দূ করতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে আমাদের কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন থাকে। যার ফলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
হৃদ রোগের ঝুকি কমায়: এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে হৃদ রোগ হওয়ার ঝুকি অনেকাংশে কমে যায়।
সুগার নিয়ন্ত্রন করে: রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, এতে করে ডায়াবেটিস এর মতো মারক্ত রোগের সৃষ্টি করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি নিয়মিত গ্রিন টি পান করে থাকেন, এতে করে আপনার সুগারের মাত্রা কমে যাবে, যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সর্দিকাশি দূর করে: গ্রিন টি সর্দি কাশির মতো ঠান্ডা জনিত রোগ দূর করতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং সর্দি কাশি দূরে রাখার জন্য নিয়মিত এই গ্রিন টি পান করতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের চিন্তায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে। ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ্য ও ফিট।
বার্ধক্যকে দূরে রাখে: গ্রিন টিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান আমাদের বার্ধক্যকে দূরে রাখে। কেননা এই গ্রিন টি নিয়মিত খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না এবং একই সাথে বয়সের ছাপ দূরও করে দেয় এই এই গ্রিন টি। সুতরাং আপনি যদি বার্ধক্যকে দূরে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত প্রতিদিন এই গ্রিন টি পান করতে পারেন।
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করে: আপনি যদি ফ্রিজের দুর্গন্ধর জন্য বিরক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে এর শুকনো পাতা একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে ফ্রিজের এক কোনায় রেখে দিন। এতে করে আপনার ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চায় গ্রিন টির ব্যবহার
চোখের ফোলা ভাব দূর করে: অনেকের ঘুম থেকে উঠার পরে চোখের ফোলা ভাব থাকে। যা অনেকটাই অস্বস্তিকর। আর এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে চাইলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার চোখের ফোলা ভাব দূর হবে।
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দূর করে: অনেকের বিভিন্ন কারনে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে থাকে। আর এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আপনি চাইলে একটি গ্রিন টির ব্যাগ ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। তারপরে বের করে চোখ বন্ধ করে ১০ মিনিটের মতো চোখের চারপাশে ব্যবহার করুন এতে করে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করে: ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে গ্রিন টি ও মধু নিতে হবে। তারপরে এই দুইটি উপাদান একটি বাটিতে ভালো মতো মিশ্রণ করে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। এরপরে স্ক্রাবটি ভালো মতো ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করে: এই গ্রিন টি অসাধারন গুণাগুণ সম্পূর্ণ হওয়ার কারনে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে থাকে। একই সাথে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও দূর করে থাকে।
ব্রণ দূর করে: ব্রণ দূর করার জন্য গ্রিন টি অসাধারন কার্যকারী।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। কেননা এই গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু ধ্বংশ করে এবং একই সাথে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে থাকে। যার ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: গ্রিন টি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনি চাইলে গ্রিন টি পান করার পাশাপাশি এটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোই রূপচর্চায় গ্রিন টির ব্যবহার।
গ্রিন টির অপকারিতা
গ্রিন টি আমাদের স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি হলেও এই গ্রিন টি পানের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
গ্রিন টির অপকারিতা গুলো হল-
- অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করলে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।
- মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
- মাথ্যা ব্যথাও হয়ে থাকে।
- হার্ট বিটও বেড়ে যায়।
- অস্থিরতা বা চঞ্চলতাও দেখা দিতে পারে।
- পানিশূন্যতার মতো জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত মুত্রত্যাগ
- অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- সুতরাং অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিভিন্ন তথ্য জেনেছেন। এখন অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-
আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এ সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। কেননা গ্রিন টিতে বিদ্যমান উপাদান গুলো আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বা ফ্যাট গুলো কমিয়ে দিবে। যার ফলে আপনার অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওজন কমাতে গ্রিন টি পানের নিয়ম-
- ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।
- ব্যায়ামের পূর্বে গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
- খাবারের পর পরই গ্রিন টি পান যাবে না। একটু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপরে পান করতে পারেন।
- অবশ্যই গ্রিন টির সাথে মিষ্টি জাতীয় যেমন- চিনি বা মধু ব্যবহার করবেন না।
- ভালো মানের গ্রিন টি পান করুন।
খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা
গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছেন। এখন হইতো ভাবছেন বা জানতে ইচ্ছে করছে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। তাহলে জেনে নিন বিস্তারিত বিষয়টি সম্পর্কে-
খালি পেটে গ্রিন টি খেলে উপকারের তুলনায় অপকারিতায় বেশি। কেননা খালি পেটে গ্রিন টি বা এমনি চা যেটাই পান করুন না কেন এর ফলে আপনার বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। যেমন- খালি পেটে গ্রিন টি পানের ফলে আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সুতরাং একেবারে খালি পেটে কোনো অবস্থাতেই গ্রিন টি পান করা উচিৎ নয়।
আসল গ্রিন টি চেনার উপায়
বাজারে নকল পণ্যের ভিড়ে আসল পন্য খুজে বের করা অনেক কষ্ট কর একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। তাহলে চলুন জেনে নিই আসল গ্রিন টি চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে-
- সাধারনত গ্রিন টি টি ব্যাগ হিসেবে পাওয়া যায়। যা সম্পূর্ণ অরজিনাল গ্রিন টি নয়। কেননা খাটি গ্রিন টি শুকনো পাতা হিসেবে বিক্রয় করা হয়। আর এই শুকনো পাতার গ্রিন টি স্বাদে এবং গুণে উন্নতমানের হয়ে থাকে।
- গ্রিন টির পাতার রং কালচে বা বাদামি হবেনা। এই গ্রিন টির রং হবে গ্রিন বা সবুজ।
- গ্রিন টি চেনার আরও একটি বড় উপায় হল যখন আপনি আসল গ্রিন টির শুকনো পাতায় হাত দিবেন তখন পাতাটি সম্পূর্ণ আছে কিনা এবং একই সাথে পাতা মসৃণ কিনা সেটাও দেখতে হবে। আর পাতা যদি ধরার সাথে সাথে দুমড়ে যায় বা মুচমুচে হয়ে ভেঙে যায়, তাহলে বুঝবেন সেটি অনেক পুরনো কিংবা বেশি শুকানো হয়েছে।
গ্রিন টি খাওয়ার সময়
গ্রিন টি খাওয়ার সময় হল-
- খালি পেটে কোনো অবস্থাতেই এই গ্রিন টি পান করা যাবেনা।
- দুই বেলা খাবারের বিরতিতে এই গ্রিন টি পান করতে পারেন।
- অর্থাৎ খাবার খাওয়ার দু ঘণ্টা পরে কিংবা পূর্বে পান করতে পারেন। এতে করে উপকারিতা বেশি পাবেন।
গ্রিন টি তৈরির নিয়ম
- গ্রিন টি তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে পানি গরম করে নিতে হবে। তবে একেবারে ফুটানো গরম পানির প্রয়োজন নেই।
- তারপরে গরম পানির মধ্যে গ্রিন চা পাতা দিন। ( প্রতিকাপ চায়ের জন্য ১-২ চা চামচ গ্রিন টি পাতা)
- এর পরে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
- তারপরে ভালো মতো ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
- তবে আপনি চাইলে স্বাদের জন্য মধু মিশ্রণ করতে পারেন। তবে না করাই ভালো। এটিই
- গ্রিন টি তৈরির নিয়ম।
কাদের গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়
কাদের গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয় এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন, আসলে গ্রিন টি সবাই পান করতে পারেন। এতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনি যদি কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই পান করবেন।
Green tea খেলে কি ওজন কমে
Green tea খেলে কি ওজন কমে- হ্যাঁ অবশ্যই গ্রিন টি নিয়মিত প্রতিদিন পান করলে ওজন কমে।
খালি পেটে গ্রিন টি খেলে কি হয়
ইতিমধ্যে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। তারপরেও অনেকে খালি পেটে গ্রিন টি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন, এর উত্তর হল- খালি পেটে গ্রিন টি খেলে বদ হজম, আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো জটিল সমস্যা হতে পারে। সুতরাং গ্রিন টি একেবারে খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়।
গ্রিন টি কি মুখে দেওয়া যায়
গ্রিন টি কি মুখে দেওয়া যায়- হ্যাঁ যায়। খালি পাতা মুখে না দেওয়ায় ভালো। চা বানিয়ে পান করাতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনেছেন। এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করার নিয়ম গুলো জেনেছেন। সুতরাং আপনি যদি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে চান, তাহলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর আজকের আর্টিকেলের কোনো তথ্য আপনার কাছে ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে অনুগ্রহ সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
এরকম নিত্য নতুন বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট www.kanon24.com নিয়মিত ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি সময় দিয়ে সম্পূর্ণ পরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url