রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ - একদিনে রাজশাহী ভ্রমণ
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে আপনি জানতে ও ভ্রমণ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও রাজশাহী পদ্মা পার্ক আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থান এ সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিত সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
সেই সাথে রাজশাহী ভ্রমণের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বিভিন্ন ধরেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিক্যালে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ।
ভূমিকা
বাংলাদেশের শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত আমাদের সাথে এই রাজশাহী নগরী। আলোকউজ্জ্বল ও সবুজের চাদরে ঘেরা এই নগরীর প্রাকৃতিক রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আপনাকে মুগ্ধ করবে। রাজশাহী হল হল সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি নগরী। সেই সাথে রাজশাহীর মানুষ খুবই আন্তরিক।
এর নগরের পাশদিয়ে অবিরত ভাবে বয়ে চলেছে অনন্ত যৈবনা পদ্মা নদী এবং সেই পদ্মা নদীর তীরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থান। সেই স্থানগুলোতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের আনাগুনা লেগেই থাকে।
রাজশাহী শহরের প্রাকৃতি রূপ, সৌন্দর্য যেকোনো সময় সময় যে কাউকে মুগ্ধ করে। এই নগরী শুধু আলোক উজ্জ্বল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা নয়। কেননা এই নগরীকেই বলা হয় শিক্ষা নগরী। এই নরীতেই অবস্থান দেশ সেরা রাজশাহী কলেজের। যার সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে।
এছাড়াও রাজশাহী আম ও সিল্কের জন্য জন্য বিখ্যাত। এই জন্য রাজশাহীকে সিল্ক সিটিও বলা হয়। এই নগরীর প্রতিটি রাস্তা ও এর আশেপাশে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকে সব সময় এবং সেই সাথে রাস্তার পাশের আলোক সজ্জা রয়েছে।
এ নগরীর দিনের সৌন্দর্য আপনাকে যতটা মুগ্ধ করবে, ঠিক সেই সাথে রাতের সৌন্দর্যও আপনাকে বিমোহিত করবে। কেননা এ নগরী প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে পুরো নগরীর একেকটা স্থান একেক রূপে সাজানো গোছানো রয়েছে।
সেই সাথে রয়েছে মন মুগ্ধময় আলোসজ্জ্বা যা দেখে অনেকেই উন্নত দেশের কোনো শহরের সাথে মিলিয়ে ফেলতে পারেন। আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে আমরা রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিবো।
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
শিক্ষা নগরী, সবুজ নগরী, পরিষ্কার নগরী, শান্তির নগরী, সিল্ক সিটি ও আমের নগরী হিসেবে খ্যাত এই রাজশাহী। এর রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আপনাকে মুগ্ধ করবে প্রতি মুহূর্তে। তাহলে চলুন জেনে নিই রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য-
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী কলেজ
- শাহ মুখদুমের মাজার
- শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা
- বরেন্দ্র জাদুঘর
- পর্দা গার্ডেন
- লালন শাহ মুক্ত মঞ্চ
- টি- বাঁধ
- আই- বাঁধ
- সি এন্ড বি রোড
- প্যারিস রোড রাবি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহীর
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
- এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
- নবথিয়েটার
- নাইস গার্ডেন পার্ক, তানোর
- সাফিনা পার্ক গোদাগাড়ি
- ওয়াটার পার্ক মোহানপুর
- পুঠিয়া রাজবাড়ি পুঠিয়া
- উৎসব পার্ক, বাঘা
- বাঘা মসজিদ
- রাজশাহীর ঐতিহাসিক স্থান
একদিনে রাজশাহী ভ্রমণ
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি একদিনের মধ্যে রাজশাহী ভ্রমণ করতে চান তাহলে সেটা কিন্তু সম্ভব। কেননা রাজশাহীর প্রায় সকল দর্শনীয় স্থান সমহূ নগরীর মধ্যে ও এর আশে পাশে। আপনি যদি একদিনে রাজশাহী ভ্রমন করতে চান তাহলে সেটা সম্ভব। একদিনে রাজশাহী ভ্রমন করার অসংখ্য স্থন রয়েছে।
আকজের আর্টিক্যালের মাধ্যমে আমরা জেনে নিবো এক দিনের মধ্যে রাজশাহী ভ্রমণের সকল স্থান গুলো সম্পর্কে জানার জন্য আজকের আর্টিক্যালের নিচের অংশ গুলো মনযোগ সহকারে পড়ুন।
ছবি সহ রাজশাহী মহানগরীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
রাজশাহী মহানগরীতে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা ইচ্ছে করলে একদিনের মধ্যেই ঘুরে দেখা সম্ভব। আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে একদিনে ভ্রমনের জন্য ছবি সহ রাজশাহী মহানগরীর দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবো।
রাজশাহী কলেজ: আপনি যদি একদিনে রাজশাহী ঘুরে দেখতে চান, তাহলে এর জন্য শ্রেষ্ঠ একটি জাইগা হল দেশসেরা রাজশাহী কলেজ। এই কলেজ ১৮৭৩ সালে স্থাপিত। এই কলেজের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। সুতরাং আপনি যদি একদিনের জন্য রাজশাহী ভ্রমণে আসেন তাহলে অবশ্যই রাজশাহী কলেজ ভ্রমণ করবেন।
ভুবনমোহন পার্ক: রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন বা স্থান হল এই ভুবনমোহন পার্ক। রাজশাহীর সকল আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত এই পার্কের গুরুত্ব অপরিসীম।
শাহ মুখদুমের মাজার: হযরত শাহ মুখদুম এর পুরো নাম শাহ সুলতান মখদুম রূপস। তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য কুমিরের পিঠে চড়ে রাজশাহীতে আগমন করেছিলে। এখানে শাহ মুখদুমজের মাজারের পাশাপাশি তাকে বহন কারী কুমীরের ও কবরস্থান বা মাজার রয়েছে।
আপনি যদি একদিনের জন্য রাজশাহী নগরী ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই শাহ মুখদুমের মাজার ভ্রমণ করতে পারেন।
বরেন্দ্র জাদুঘর: বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর হল বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। এই জদুঘর বা প্রত্ন সংগ্রশালাটি ১৯১০ সালে রাজশাহী নগরীতে স্থাপিত হয়। আপনি যদি বাংলার শত শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই বরেন্দ্র জাদুঘরে ভ্রমণ করা উচিৎ। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে অন্যতম।
সুতরাং আপনি যদি একদিনের জন্য রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ ভ্রমণ করতে চান, তাহলে অবশ্যই সি এন্ড বি রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক: এই হাইটেক পার্কটি আই-বাধের যাওয়ার রাস্তার পাশেই অবস্থি। আপনি আই-বাঁধে যাওয়া কিংবা আসার সময় এই পার্কের শৈল্পীক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। সেই সাথে আপনি একজন সিনেমা প্রেমী হয়ে থাকলে এখানেই অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে পারেন।
শহীদ জিয়া শিশু পার্ক: এই পার্কটি রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের রাইড উপভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে এর বড় পুকুরের মাঝে কৃত্রিম সাদা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই পার্কে প্রবেশ মূল্য ২৫ টা জন প্রতি এবং পার্কটি সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত খোলা থাকে।
এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা: রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রগুলোর একটি । এখানে বিভিন্ন পশুপাখির সাথে বিভিন্ন ধরনের গাছ এবং কৃত্রিম সবুজে ঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে এই খানে বিশাল খাল রয়েছে যেখানে আপনি বোর্ট নিয়ে ঘুরাঘুরা করতে পারবেন।
নবথিয়েটার: এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা বিনোদন কেন্দটিতে আরও নতুন একটি স্থাপনা যোগ হয়েছে। সেটি হল নবথিয়েটার। এখানে আপনি বিশ্বজগৎ এর সকল তথ্য দেখতে ও জানতে পারবেন।
রাজশাহী পদ্মা পার্ক আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থান
পর্দা গার্ডেন: রাজশাহী নগরীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম হল পদ্মা গর্ডেন । এটি মূলত পদ্মা নদীর তীরেই অবস্থিত। আর পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে এর আশে পাশে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে পদ্মা গার্ডেন অন্যতম।
আপনি যদি একদিনের জন্য রাজশাহীতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই পদ্মাগার্ডেনে ভ্রমণ করা উচিৎ। কেননা এর নান্দনিক রূপের সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে।
লালন শাহ মুক্ত মঞ্চ: পদ্মা গর্ডেন থেকে মুক্তমঞ্চে আপনি চাইলে হেঁটে হেঁটে এর প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মাধ্যমেই আসতে পারবেন। এর জন্য প্রায় ১০ মিনিটের মতো আপনাকে হাঁটতে হবে। এছাড়াও রিক্সার নিয়েও আসতে পারেন।
মুক্তমঞ্চ হলো পদ্মানদীর তীরে আরও একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র। এখানে আপনি চাইলেই মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।এছাড়াও এর প্রাকৃতির মুক্ত হাওয়ার জন্য সবসময় বিনোদন কেন্দ্রটি লোকজনের সমাগম লেগেই থাকে।
টি- বাঁধ: আপনি রাজশাহীর অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরও অপরূপ সৌন্দর্য যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে চলে আসতে পারেন টি- বাঁধে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি শীতল হাওইয়া নিমিষেই আপনাকে নিমিষেই বিমোহিত করবে।
আই- বাঁধ: রাজশাহীর আরও একটি অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর ভ্রমণের স্থান হল আই-বাঁধ। এই বাঁধটি পদ্মা নদীর নীরে অবস্থিত। আপনি যদি পদ্মা গার্ডেন থেকে পদ্মা নদীর পাশ দিয়ে একবারে আই-বাঁধ পর্যন্ত যেতে পারবেন অনাআশে।
সুতরাং আপনি যদি একদিনের জন্য রাজশাহী ভ্রমণ করতে চান, তাহলে পদ্মা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
রাজশাহী নগরীর আশেপাশের ভ্রমণ স্থান
নাইস গার্ডেন পার্ক: রাজশাহী নগরীর রেলগেট হতে প্রায় ১৭ কি.মি. দূরে তানোর উপজেলায় এই পার্কটি অবস্থিত। আপনি চাইলে অটো কিংবা সিএনজি মাধ্যমে স্থানটি ভ্রমণ করতে পারেন।
সাফিনা পার্ক: রাজশাহী নগরীর রেল গেট থেকে প্রায় ৪৫ কি.মি. দূরে গোদাগাড়ি উপজেলায় এই পার্কের অবস্থান। এই পার্কে আপনি শিল্পির নিপুন হাতে তৈরি গাছ ও বিভিন্ন পশুকে কথা বলা অবস্থায় দেখতে পারবেন। সেই সাথে এর অপরূপ প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
ওয়াটার পার্ক: এই পার্কটি রাজশাহী নগরীর রেলগেট থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূরে মোহানপুর উপজেলায় অবস্থিত। আপনি এখানে বাস, সিএনজির মাধ্যমে খুবই সহজেই যেতে পারবেন। এই ওয়াটার পার্কটি রাজশাহী নওগাঁ মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত।
আপনি চাইলে ওয়াটার পার্কে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাইডের মাধ্যমে সুইমিং এর অসাধারন এক অনুভূতি নিতে পারেন।
পুঠিয়া রাজবাড়ি: রাজশাহী নগরী থেকে প্রায় ৩০ কি.মি. দূরে পুঠিয়া উপজেলায় এই রাজবাড়ি অবস্থিত। আপনি রাজশাহী নগরী ভ্রদা মোড় কিংবা তালাইমারি মোড় থেকে বাসে চড়েই স্থানটিতে যেতে পারবেন। এই রাজবাড়িকে পাঁচআনি জমিদার বাড়িও বলা হয়।
এ রাজবাড়িতে মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবী বসবাস করতেন। পুঠিয়ার এই রাজবাড়িটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাঘা শাহী মসজিদ: রাজশাহী নগরীর থেকে প্রায় ৪৫ কি.মি. দূরে বাঘা উপজেলায় এ ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ অবস্থিত। আপনি চাইলে এই স্থানটিতে ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি এই ইতিহাস ও এই মসজিদের শিল্পীর নিপুন হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইন দেখতে পারবেন। রাজশাহী নগরীর আশেপাশের ভ্রমণ স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম।
উৎসব পার্ক: এটি রাজাশাহী জেলার বাঘা উপজেলা থেকে প্রায় ২ কি.মি. দূরে দীঘির পাড়ে অবস্থিত একটি বিনোদন কেন্দ্র। আপনি চাইলে এই স্থানটি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনীয় স্থান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: একদিনের রাজশাহী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে শেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জুলাই ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩০৪ হেক্টর বিশাল এলাকাজুড়ে । এর প্রাকৃতিক রূপ আপনাকে বিমোহিত করবে।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল-
সাবাশ বাংলাদেশ: সাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি শিল্পি নিতুন কুন্ড লাল বেলে মাটি টিয়ে ১৯৯১ সালের ৩ ফ্রব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে এ ভাস্কর্যটি শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম উন্মোচন করেন। যা বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের এক জীবন্ত ছবি।
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বরে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধবিত্তিক সংগ্রহশালা বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘর। যা ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও মুক্তি যুদ্ধের সময়ের শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের নানা স্মৃতি এই শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাইয় রয়েছে।
বদ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ আশেপাশের শত শত মানুষ স্বাধীনতাকামী মানুষদের পাক হানাদার বাহিনীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। তাঁদের স্মরণে এই বদ্যভূনি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।
প্যারিস রোড: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুন্দরতম রাস্তা হল এই প্যারিস রোড। এই রাস্তার দু পাশে অসংখ্য বড় বড় গাছ রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে গোলাপ বাগান। এই প্যারিস রোডের প্রাকৃতিক রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আপনাকে বিমোহিত করবে।
এগুলো ছাড়াও আপনি চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে পারেন। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে প্রতিটি মুহুর্তে। মূলত এগুলোই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনীয় স্থান।
রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার
শিক্ষা নগরী, সবুজ নগরী, পরিষ্কার নগরী, শান্তির নগরী, সিল্ক সিটি ও আমের নগরী হিসেবে বিখ্যাত রাজশাহী। সেই সাথে রয়েছে বেশকিছু রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার। আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে এ বিষয় সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন তথ্য জেনে নিবো-
কালা ভুনা: আপনি যদি একজন ভোজনপ্রিয় মানুষ হয়ে থাকে তাহলে রাজশাহীর বিখ্যাত গরুর কালাভুনা খেতে পারেন। এ জন্য আপনাকে রাজশাহী নগরী থেকে একটু দূরে কাঁটাখালি বাজারে আসতে হবে। এখানে একতা হোটেলে স্পেশাল গরুর কালা ভুনা পেয়ে যাবেন।এছাড়াও রাজশাহী নগরীর সিটি হাটে গিয়েও কালাভুনা খেতে পারবেন।
হাঁসের মাংস: আপনি যদি ভোজন রসিক মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার মড়মড়িয়াতে চলে আসতে পারেন। এখনে আপনি হাসের ভুনা মাংস পেয়ে যাবেন। এটি রাজশাহীর সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম।
কালাই রুটি: রাজশাহীর আরও একটি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত খাবার হল কালাই রুটি। এই কালাই রুটি খাওয়ার জন্য আপনাকে নগরীর উপশহর এলাকায় যেতে হবে। তাহলে বেশ কিছু কালারুটির দোকান পেয়ে যাবেন।
গরম মিষ্টি ও পুরি: আপনি যদি রাজশাহীর বিখ্যাত গরম মিষ্টি ও পুরি খেতে চান তাহলে আপনাকে সি এন্ড বি মোড়ে আসতে হবে। এখানে আপনি পেয়ে যাবেন গরম গরম মিষ্টির সাথে গরম গরম পুরী।
আম ও খেজুরের গুড়: রাজশাহীর সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে আম ও খেজুরের গুড়ে সুনাম তো আগে থেকেই আছে। নতুন করে বলার আর প্রয়োজন নেই।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে ও রাজশাহী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত ভাবে জেনে গেছেন। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ প্রিয় ও ভোজন প্রিয় মানুষ হন তাহলে অবশ্যই রাজশাহীতে ভ্রমণ করা উচিৎ।
আর রাজশাহীর মানুষ খুবই আন্তরিক সেটা রাজশাহীতে না আসলে বুঝতে পারবেন না। সুতরাং আশা করি অবশ্যই শিক্ষা নগরী, সবুজ নগরী, পরিষ্কার নগরী, শান্তির নগরী, সিল্ক সিটি ও আমের নগরী হিসেবে খ্যাত এই রাজশাহী নগরীতে ভ্রমণ করবেন।
আজকের এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করেবেন। সেই সাথে নিত্যনতুন সকল বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url