বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ জেনে নিন

বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি জানতে চান ও ভ্রমণ পিপাপু মানুষ হন, তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও বান্দরবান ভ্রমণের উপযুক্ত সময় গুলো সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ
সেই সাথে বান্দরবন ভ্রমণের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বিভিন্ন ধরেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিক্যালে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত তথ্যগুলো সম্পর্কে।

ভূমিকা

পাহাড়ে ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের নীলাভূমি বান্দরবন। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা মোট তিনটি। পার্বত্য জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বান্দরবন জেলা। এখানে প্রকৃতির রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও নানা রকম বৈচিত্রে ভরপুর। যা দেখা মাত্র বা  বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ আমাদের  মুগ্ধ করে। 
ভ্রমণ পিপাসুসের ভ্রমণের প্রিয় জাইগা গুলোর মধ্যে বান্দরবন অন্যতম। কেননা এখানে পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে নামে ঝর্ণার ধারা এবং পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলে নদী, সেই সাথে পাহাড়ের চূড়ার সাথে মেঘের মিলন মেলা যা সবাইকে মুগ্ধ করে।

বান্দরবনের যত গহিনে যাবেন এর রূপ তত আপনাকে আরো বেশি মুগ্ধ করে তুলবে। গহিন বান্দরবন নয়নাভিয়াম। যা দেখা মাত্রই নিমিষেই সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। যার জন্য ভ্রমণ পিপাসুরা বার বার ছুটে আসে এখানে।

এছাড়াও বান্দরবনের পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে আপনি মেঘেরও উপরে উঠে যাবেন। উপর থেকে মেঘ দেখার অনুভূতি নিতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বান্দরবনে আসতে হবে। বন্দরবনের রূপ সত্তিই আপনাকে বিমোহিত, আনন্দিত ও মুগ্ধ করবে। তাহলে চলুন বান্দরবনের গহিন অরণ্যের সকল তথ্য গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।

বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ

পাহাড়ে ঘেরা বান্দরবন রঙ, রূপ, সৌন্দর্যে ভরপুর । এখানে পাহাড়ের সাথে মেঘের মিলন মেলা দেখে যে কেউ বিমোহিত হবেন।

নীলাচল: বান্দরবন জেলার অন্যতম দর্শুনীয় স্থানগুলোর মধ্যে নীলাচল অন্যতম। এটি বন্দরবন সদর থেকে মাত্র ৫-৬ কিমি দূরে টাইগার পাড়ায় পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত এই নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র।

আপনি নীলাচল থেকে আশেপাশে যত দূর চোখ যায় দেখতে পাবেন শুধু পাহাড় আর পাহাড়। যা দেখতে সাগরের ডেউয়ের মত লাগে। এই নীলাচলে আসার পরে আপনি আরো দেখবেন পাহাড়ের সাথে মেঘের মিশে যাওয়া মন মুগ্ধময় দৃশ্য।
পাড়ার আর মেঘের মিলন মেলা শুধু মাত্র আপনি বান্দরবনের নীলাচলেইউ দেখতে পারবেন। যা আপনাকে করবে বিমোহিত। এখানে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন।
সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বন্দরবনের নীলাচলে ভ্রমণ করতে হবে।

নীলগিরি: নীলগিরিকে বলা হয় বাংলাদেশের দার্জিলিং। কেননা এর নয়নাভিরাম দৃশ্য দার্জিলিং এর মতোই। এর অবস্থান পার্বত্য বান্দরবন জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ২২০০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়।

যেখান থেকে আপনি নয়ানাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। আরও উপভোগ করতে পারবেন এর রঙ, রূপ, সৌন্দর্য এবং নানা রকম বৈচিত্রের সমাহার দেখে আপনার অশান্ত হৃদয় শান্ত হয়ে যাবে।

সেই সাথে সকল প্রকার মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকে তাহলে বান্দরবনের নীলগিরি ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে এর আসল রূপ উপভোগ করতে পারবেন।  বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ মধ্যে অন্যতম একটি।

কেওক্রাডং: বাংলাদেশের পঞ্চম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং পাহাড় বা পর্বত। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যে কেওক্রাডং এর চূড়া শুণ্যে মিলিয়ে গেছে। মারমাদের কাছ থেকে সাধারণত কেওক্রাডং নামটি এসেছে।
আপনি যদি কেওক্রাডং ভ্রমণে যান তাহলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন যে, পাহাড় আর মেঘের মিলন বন্ধন। 
যা আপনাকে আনন্দিত বা বিমোহিত করবে।এছাড়াও এর চূড়া গুলো দেখলে মনে হবে এর চূড়াগুলো শূণ্যে মিলিয়ে গেছে।যা এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কেওক্রাডং পাহাড়ে ভ্রমণ করা উচিৎ। এতে করে আপনি প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

আমিয়াখুম: আপনি যদি আপনার জীবন উপভোগ করতে চান এবং প্রাকৃতির খুবই কাছাকাছি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আমিয়াখুম জলপ্রপাতে ভ্রমণ করা উচিত। আমিয়াখুম জনপ্রপাত বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত।

আমিয়াখুম বাংলাদেশের দুর্গম জাইগা গুলোর একটি হলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে পছন্দের অন্যতম একটি।

আমিয়াখুম সবুজ পাহাড়ে ঘেরা গহিন অরন্যের মধ্যে বিভিন্ন পাথরের বাধা অতিক্রম করে দুধের মতো রঙের ফেনা ছড়িয়ে প্রবল বেগে নিচ দিকে পানির স্রোত ধারা নেমে আসে অনবরত ভাবে। উপর থেকে নেমে আসার শব্দ আপনাকে বিমোহিত করবে।

তাইতো বারবার ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা ছুটে এই পাহাড়ে ঘেরা গহিন অরণ্যের মাঝে এবং সেই সাথে উপভোগ করে প্রাকৃতির রঙ, রূপ ও বৈচিত্র। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বান্দরবনের গহিনে আমিয়াখুমে ভ্রমন করা উচিত।

তবে এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে বিভিন্ন পাহাড় এবং দূর্গম পথ । তবে আপনি এর আসল রূপ, সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

নাফাখুম: বাংলাদেশের আরও একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণার রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ করতে হবে। এর অবস্থান বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাত।

আপনি যদি একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমিয়াখুমের পরে নাফাখুম জলপ্রপাত আপনার জন্য অত্যান্ত ভালো একটি ভ্রমণের জাইগা হতে পারে। কেননা এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে-
তাহলে প্রথমে আপনাকে থানচি থেকে সাঙ্গু নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হবে রেমাক্রিতে এরপর প্রায় ৩-৫ ঘন্টার মতো পায়ে হেঁটে যেতে হবে এই নাফাখুম জলপ্রপাতের রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র উপভোগ করতে।নাফাখুম ভ্রমণের সাথে সাথে আপনি আদিবাসিদের জীবন চিত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই সাথে ট্রেকিং এর আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন বান্দরবনের গহিন অরণ্যে।

ভেলাখুম: আপনি যদি সত্যি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন এবং সেই সাথে রোমাঞ্চকর মুহূর্তে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চান অন্য এক জগৎ এ তাহলে আপনি পাথর ও পানি বা জলপথরের রাজ্যে ভেলায় ভাসতে চান তাহলে ভেলাখুমে আসতে পারেন।

এখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝে স্বচ্ছ পানির উপরে ভেলায় ভাসার যে মুহূর্তে সেটি উপভোগ করতে পারবেন। নিজেকে এক অন্য রকম ভাবে আবিষ্কার করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি আরও উপভোগ করতে পাবেন যখন আপনি জল-গিরি পথ পাড়ি দিবেন ঠিক তখনই আপনি উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনার দুই পাশে সুউচ্চ আকাশ ছোঁয়া পাহাড় শত্রুদের হাত থেক আপনাকে রক্ষা করার জন্য বিশাল দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পৃথিবীর সকল প্রাকৃতিক রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আল্লাহ তা'আলা নিজের হাতে এখানে দান করেছেন। যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে বিমোহিত করবে। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভেলাখুমে ভ্রমণ করা উচিৎ। কেননা এটি বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ মধ্যে অন্যতম একটি।

দেবতাখুম: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরও একটি অপরূপ বৈচিত্র আপনি যদি উপভোগ করে আপনার স্মৃতির পাতায় সংরক্ষণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেবতাখুমে ভ্রমণ করতে হবে। তাহলে এক নতুনত্ব জগৎ এর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় দেবতাখুম অবস্থিত তারাখা খালের একটি অংশ এবং এর দুই পাশে আকাশ ছোঁয়া বিশাল সুউচ্চ পাহাড়ে ঘেরা। যেন দাঁড়িয়ে আছে দবতার মতো নিঃশব্দে জলধারার মধ্যে রয়েছে পাথরের বড় বড় অংশ। খুম শব্দের অর্থ হচ্ছে জলধারা।
অন্যান্য খুম গুলোর মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেশি। কেননা এর যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ। এই খুমের বিশেষত্ব হল এর দুই পাশে অরণ্যে ঘেরা বিশাল সুউচ্চ পাহাড়। যার জন্য সূর্যের আলো এখানে পড়েনা। তাই আপনি দেবতাখুমের যতই গহিনে যাবেন ততই শীতলতা অনূভব করবেন।

এর ভিতরটা একেবারে কোলাহল মুক্ত ও শান্ত। এখনে আপনি যখন ভেলায় ভাসতে ভাসতে এর গহিনে যাবেন আপনার ঠিক সেই মুহূর্তে অন্যলেভেলের রোমাঞ্চকর অনুভূতি হবে। সুতরাং আপনি একজন ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকলে অবশ্যই ভেলাখুমে ভ্রমণ করতে পারেন।

আলীর গুহা বা সুড়ঙ্গ: প্রকৃতির এক রহস্যময় জাইগা হল আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ। এই গুহাকে কেন্দ্র করে রহস্যের যেন শেষ নেই। এই সুড়ঙ্গ বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত। আলী পাহাড়ের নাম অনুসারে এর নাম হয় আলীর সুড়ঙ্গ বা গুহা ।

এখানে প্রায় তিন গুহা বা সুড়ঙ্গ রয়েছে এবং সুড়ঙ্গ গুলো অনেক সরু । যেখানে পুরো গুহা ঘুরে দেখতে প্রায় ২ ঘন্টার মতো সময় লাগে। আলীর সুড়ঙ্গ বা গুহায় যেতে হলে ঝিরি পথ বেয়ে যেতে হবে। যা সত্তিই রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি দেবে আপনাকে।

এই গুহায় আপনি অসংখ্য ছোট বড় বাদুড় এদিক ওদিক উড়তে দেখতে পাবেন। যা আপনাকে এক অন্যরকম অনুভূতি দিবে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই গুহায় ভ্রমণ করতে পারেন।

চিম্বুক পাহাড়: বান্দরবন জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় চিম্বুক পাহাড় বা কালা পাহাড়। এটি সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ২৫০০ ফুট উঁচু। একে বাংলাদেশের পাহাড়ের রাণী বা বাংলাদেরশের দার্জিলিং ও বলা হয়ে থাকে।

চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য আঁকা বাঁকা পথ পাড়ি দেওয়ার সময় এর চারপাশের প্রাকৃতিক রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবে। সেই সাথে রয়েছে তো সাঙ্গু নদীর নয়নাভীরাম দৃশ্য। এরকম মনমুগ্ধ ময় পথ পাড়ি দিয়ে আপনি পৌঁছিয়ে যাবেন চিম্বুক পাহাড়ের চূড়ায়।

পাহাড়ের একেবারে সুউচ্চ চূড়ায় দাঁড়িয়ে এর চারপাশের নৈস্বর্গিক রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্রের সুধা পান করতে করতে মেঘের ভেলায় হারিয়ে যাওয়ার এক অনুভূতি যা আপনাকে বিমোহিত করবে প্রতিটি মুহূর্তে।

সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমী মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার চিম্বুক পাহাড়ে ভ্রমণ করা উচিৎ। কেননা এটি বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ মধ্যে অন্যতম একটি।

মারায়ন তং: বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলার মিরিঞ্জা রেঞ্জে অবস্থিত মারায়ন তং পাহাড়। এটি সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ১৬৫০ ফুট উঁচু। বৌদ্ধদের ধর্মীয় উপাসানালয় এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত।এই পাহাড়ের চার পাশের প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমন পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মারায়ন তং পাহাড়ে ভ্রমণ করা উচিত।

ডিম পাহাড়: বান্দরবন জেলার থানচী ও আলীকদম উপজেলার মাঝখানে এই রহস্যময়ী নাম ডিম পাহাড় অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক এই পাহাড়ী রাস্তা। এই রাস্তার চারপার পাশের রূপ আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে মুগ্ধ করবে।

এই রাস্তার উচ্চতার কারণে এডভ্যান্সার প্রিয় মানুষের কাছে এর বেশ জনপ্রিয়তা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বান্দরবন ভ্রমন করা উচিৎ।

বান্দরবান ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

প্রিয় পাঠক আপনি যদি বান্দরবন ভ্রমণ করতে চান তাহলে সারা বছরে যেকোনো সময় ভ্রমণ করতে পারেন। এর মুল কারণ হল বান্দরবন একেক ঋতুতে একেক রূপে নিজেকে সাজিয়ে রাখে।

তবে বর্ষাকালে এর খাল, নদী, ঝিরি, ঝর্ণা গুলো যৌবন প্রাপ্ত হয় এবং সেই সাথে এর প্রকৃতি সতেজ থাকে। সেই সাথে বৃষ্টির কারনে আপনার ভ্রমণ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং বান্দরবান ভ্রমণের উপযুক্ত সেরা সময় কোনটি বুঝতেই পারছেন।

বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দরতম পর্যটন স্পট কোনটি

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমাদের এই আর্টিক্যালের উপর থেকে এই পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারছেন যে বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দরতম পর্যটন স্পট কোনটি। মূলত সবগুলো স্পটই সুন্দর।

কেননা প্রকৃতি সব সময়ই সুন্দর যতক্ষন না সে তার ভয়ংকর রূপ প্রদর্শন না করে। তবে আপনি যদি একজন এডভ্যান্সার প্রিয় মানুষ হন তাহলে আপনাকে এতো টুকু বলতে পারি আপনি চাইলে বান্দরবনের গহিন অরণ্যের মাঝে ভ্রমণ করতে পারেন।

তাহলে আপনি সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চকর অনুভূতি অনুভব করবেন। সেই সাথে প্রতিটি মুহূর্তে বিমোহিত হবেন এবং নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে পারবেন। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকে তাহলে পুরো বান্দরবনই ভ্রমণ করতে পারেন।

একদিনে বান্দরবান ভ্রমণ

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একদিনের জন্য বান্দরবন ভ্রমণ করতে চান, তাহলে সবগুলো ভ্রমণ কেন্দ্র বা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। আপনি যদি একদিনে বান্দরবান ভ্রমণ করতে চান তাহলে এক থেকে দুইটি স্থানে ভ্রমণ করতে পারেন।

তাহলে এর প্রকৃতি রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র অনেকটাই উপভোগ করতে পারবেন। সুতরাং আপনি যদি বান্দরবন ভ্রমণের কথা ভেবে থাকেন তাহলে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়তে পারেন।

বান্দরবান সম্পর্কে কিছু তথ্য

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবন একটি অন্যতম জেলা। এই জেলায় দেখা মিলে মন মগ্ধময় চক্ষু শীতল করা অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়, পাড়ার বেয়ে নেমে আসা অসংখ্য ঝর্ণা, নদী,দুই পাহারের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানির প্রবাহ, অসংখ্য ঝিরি। এছাড়াও জানতে পারবেন আদিবাসিদের জীবনযাপন সম্পর্কে।
এছাড়াও এর বিভিন্ন প্রাকৃতিক রঙ, রূপ, সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে করবে বিমোহিত। সুতরাং আপনি একজন ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকে অবশ্যই বান্দর বন ভ্রমণ করবেন। এগুলোই বান্দরবান সম্পর্কে কিছু তথ্য।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টক্যালের মাধ্যে বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য বিস্তারিত ভাবে ইতিমধ্যে জেনেছি। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ প্রিয় সেই সাথে এডভ্যান্সার প্রিয় মানুষ হন তাহলে অবশ্যই বান্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন।

আজকের এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করেবেন। সেই সাথে নিত্যনতুন সকল বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;

comment url