হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
ড্রিপ্রেশন বা হতাশা থেকে দ্রুত মুক্তির টিপস সম্পর্কে জানার পূর্বে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে ড্রিপ্রেশন বা হতাশার কারণ গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নিই আজকের আর্টক্যালের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ভূমিকা
ডিপ্রেশন বা হতাশা কখনো আসেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা জীবনে প্রতিটা সময় কম-বেশি ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগে থাকি। এই ডিপ্রেশন বা হতাশা কখনো ক্ষণস্থায়ী হয় আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়।
অনেকেই দীর্ঘস্থায়ী ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভোগার কারণে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে আপনার মানসিক ডিপ্রেশন বা হতাশা যদি দীর্ঘস্থায়ী অথবা সর্বচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন মানুষের মন জয় করার গোপন টিপস।
তবে সব সময় যে ডাক্তারের পরামর্শ নিলেই বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি মিলবে এমনটা ভাবাটাও ঠিক হবে না। তাই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনার হতাশার মূল কারণ কোনটি। তাহলে চলুন জেনে নেই হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়।
ড্রিপ্রেশন বা হতাশার কারণ
ড্রিপ্রেশন বা হতাশা থেকে দ্রুত মুক্তির গোপন উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পূর্বে ড্রিপ্রেশন বা হতাশার মূল কারণ গুলো খুজে বের করতে হবে।তবে মানুষভেদে ড্রিপ্রেশন বা হতাশার মূলত কারণ গুলো বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ড্রিপ্রেশন বা হতাশার অনেক গুলো কারণ থাকে ।যেমন-
- মানসিক কারনের অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগেন ।
- সামাজিক কারনের অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগেন।
- পরিবেশগত কারনে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগেন।
- সামাজিক সমর্থনের অভাবে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগ।
- মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার স্তরের পরিবর্তন কারনে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগেন।
- জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কারনে অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগেন।
ডিপ্রেশন বা হতাশার লক্ষণ
ড্রিপ্রেশন বা হতাশা থেকে দ্রুত মুক্তির গোপন উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের ড্রিপ্রেশন বা হতাশার লক্ষণগুলো খুজে বের করতে হবে। তাহলে জেনে নিই ড্রিপ্রেশন বা হতাশার লক্ষণগুলো সম্পর্কে-
ভুলে যাওয়া: ডিপ্রেশন বা হতাশার কারণে মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়। এটি ডিপ্রেশন বা হতাশাগ্রস্থ লোকদের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মানসিক চাপের মাত্রা বেড়ে বেড়ে গেলে মানুষ ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে থাকেন।
ঘুম কম হয় বা অনিদ্রা: আপনি যখন ডিপ্রেশনে ভুগবেন তখন আপনি অনিদ্র রোগে ভুগবেন। অর্থাৎ মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভোগে থাকে তখন তার ঘুম কম হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক।
আগ্রহের অভাব: কেউ যখন ডিপেশনে বা হতাশায় ভোগে থাকেন তখন তার সকল বিষয়ে আগ্রহ হ্রাস পেতে শুরু করে। অতএব এক কথায় বলা যায় যে মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগে তখন আগ্রহ শক্তি হারিয়ে ফেলতে থাকে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
মনোযোগের অভাব: কেউ যখন ডিপ্রেশনে ভোগে থাকেন তখন সে কোন কাজে ঠিকঠাক মনোযোগ বসাতে পারে না। ফলে তার কাজকর্মের ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ক্ষুধা কমে যাওয়া: আমরা অনেকেই তো ওজন কমানোর জন্য কম করে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু যখন কেউ কোনো কারন ছাড়াই কম খাবার খায় বা খেতে চায় না তখন বুঝতে হবে সে ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগছেন।
অতিরিক্ত খাওয়া: কেউ কেউ ডিপ্রেশনে থাকলে বা হতাশায় ভুগলে যে খাবার কম খাবে ব্যাপারটি এমন নাও হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে কেউ অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে সে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেয়।
ক্লান্তি: আপনি যখন ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগবেন তখন হঠাৎ করে আপনার ক্লান্তি চলে আসবে।এটি হতে পারে ডিপ্রেশন বা হতাশার এক প্রকার লক্ষণ।
আবেগ: কেউ যখন অতিরিক্ত ডিপ্রেশন বা মানসিক হতাশায় ভোগেন তখন সে হঠাৎ করেই প্রচুর আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশার লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
রেগে যাওয়া: কেউ যখন ডিপ্রেশন বা মানসিক হতশায় ভুগে থাকেন তখন অনেকেই হুটহাট করে রেগে যান ।ডিপ্রেশন বা হতাশার একটি ভয়াভহ লক্ষণ।
মাদকাসক্ত: অনেকেই ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভোগার কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।ডিপ্রেশন বা হতাশার একটি ভয়াভহ লক্ষণ।
অতিরিক্ত কেনাকাটা: অনেক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা ডিপ্রেশন বা হতাশা ভোগে থাকেন, সেসব মানুষজন বিশেষ করে অতিরিক্ত কেনাকাটা করে থাকেন যা অনেকটাই অস্বাভাবিক।ডিপ্রেশন বা হতাশার মূল লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
চুরি: অনেকে ডিপ্রেশন বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে চুরির মত খারাপ কাজও করে থাকেন।ডিপ্রেশন বা হতাশার একটি ভয়াভহ লক্ষণ।
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম করা: আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি অনেকটাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন। যার ফলে ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন।সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ুন।
নিয়মিত খেলাধুলা: আপনি যদি ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত খেলাধুলা করুন।কারন নিয়মিত খেলাধুলা করলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাই।ফলে ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। তাই নিয়মিত খেলাধুলা করুন।
নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমতে হবে: আপনি যদি ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগে থাকেন বা এর থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।কেননে পর্যাপ্ত ঘুমা ডিপ্রেশন বা হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
মাদককে না বলা বা মাদক থেকে দূরে থাকা: ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে যদি চিরোতরে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে হলে অবশ্যই মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
নিজের যত্ন নেওয়া: মানসিক চাপ কমানো জন্য অবশ্যই নিজের যত্ন নিতে হবে ।কেননা নিজের সঠিক যত্ন নিলে সহজেই ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
মানসিক চাপ কমানো: আপনি যদি ডিপ্রেশন বা হতাশা মুক্ত জীবন যাপন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে হবে। তবেই আপনি ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন। এটি হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপায়।
ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করা: ডিপ্রেশন বা হতাশা কমাতে হলে বা মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইতিবাচক বা ভালো চিন্তা ভাবনা করতে হবে। তাহলে সহজেই আপনি ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করা: আপনি যদি ডিপ্রেশন বা হতাশা মুক্ত জীবন যাপন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলেই অনেকটাই ডিপ্রেশন বা হতাশা মুক্তি পাবেন।
নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন: ডিপ্রেশন বা হতাশা মুক্ত জীবন যাপন করা গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা। কেননা যখন আপনি কাজে ব্যস্ত থাকবেন তখন আপনার অন্যান্য মানসিক চিন্তা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনা। সুতরাং আপনি যদি কাজে ব্যস্ত থাকেন তাহলে অনেকটাই ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগে থাকেন তখন খাবার খেলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়।কেননা মানসিক চাপের সময় যখন আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন তখন আপনার মানসিক চাপ কমতে আপনি বাধ্য। তবেই আপনি ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
আপনজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো: আপনি যখন অতিরিক্ত ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনজন ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।এতে আপনি ডিপ্রেশন বা হতাশা মুক্ত পাবেন। হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায়।
প্রকৃতির কাছে যাওয়া: যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগবেন তখন যদি প্রকৃতির কাছে যান তাহলে আপনি অনেক হালকা অনুভব করবেন। কেননা প্রকৃতির কাছে মানুষ যখন যাই তখন তার মানসিক চাপ এমনিতেই কমে যায়। ফলে ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
পছন্দের কাজ করুন: আপনি যদি ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজেকে নিজের পছন্দের কাজে নিয়োজত করুন এতে করে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। এতে করে আপনি ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকেও মুক্তি পাবেন। হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায়।
ধৈর্য ধারণ করা: যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগবেন তখন অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারন করতে হবে। কেননা মানুষের জীবনে যখন খারাপ সময় নেমে আসে তখন ধৈর্য ধারণ করতে হয়। সুতরাং আপনার খারাপ সময়ে যদি আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেন তাহলে ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ইসলামিক উপায়
ড্রিপ্রেশন বা হতাশা থেকে দ্রুত মুক্তির গোপন উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকারি উপায় হল ইসলামী উপায়। তাহলে চলুন জেনে নিই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ইসলামী উপায় সম্পর্কে-
তাকদিরের ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস করা: ভালো কিংবা মন্দ যেটাই হোক না কেন আপনাকে অবশ্যই তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। কেনন তাকদিরের ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাসী ব্যক্তিকে কখনও কোনো দুশ্চিন্তা ঘ্রাস করতে পারেনা। কেননা সে ভাবে সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র আল্লাহ করতে পারেন ।
এই চিন্তা ভবনাই ডিপ্রেশন বা হতাশা খুবই দ্রুত মুক্তি দেয়। সতরাং ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগলে আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করা উচিত। এতে করে দ্রুতই ডিপ্রেশন বা হতাশামুক্তি মেলে।
বিপদে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা: আল্লাহ ছাড়া কেউ কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করতে পারে না।তাই বিপদ-আপদ বা ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই আল্লাহর কথা বেশি বেশি স্মরণ করতে হয়।
নিয়মিত নামাজ পড়া: আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন তাহলে বেশি বেশি নামাজ বা সালাত আদায় করুন। এতে করে সকল প্রকার মানসিক পেরেসানি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।
ইস্তেগফার: আমাদের ডিপ্রেশন বা হতাশার অনেক গুলো কারণের মধ্যে আর্থিক সংকট ও হতে পারে বা যে কারণেই হোক না কেন, বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন । এতে করে আল্লাহ তা'আলা দ্রুতই আপনাকে মানসিক পেরেসানি থেকে মুক্তি দিবেন ইনশাল্লাহ।
দোয়া করুন: ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তা'আলার কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন। এতে করে আল্লাহ তা'আলা দ্রুতই আপনাকে সকল প্রকার ডিপ্রেশন বা হতাশা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিবেন ইনশাল্লাহ।
সালাতুল হাজাত পড়ুন: ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তির জন্য বেশি বশি সালাতুল হাজাত পড়ুন। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
সুতরাং সকল প্রকার বিপদ আপদ বা ডিপ্রেশন বা হতাশা বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেলে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সেই সাথে আল্লাহ তা'আলার কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।তাহলেই আপনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল প্রকার পেরেসানি থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ।
ধৈর্য ধারণ করা: যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দোয়া করার পাশাপাশি ধৈর্য ধারন করতে হবে। কেননা মানুষের জীবনে যখন খারাপ সময় নেমে আসে তখন ধৈর্য ধারণ করতে হয়। সুতরাং আপনার খারাপ সময়ে যদি আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেন তাহলে ডিপ্রেশন বা হতাশা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখবের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আমরা ইতি মধ্যেই হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনেছি। সুতরাং আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক পেরেসানিতে থাকেন বা ডিপ্রেশন বা হতাশাইয় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই উপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। এতে করে দ্রুত সকল প্রকার মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ।
এই আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে ইতি মধ্যে জেনে গেছেন ড্রিপ্রেশন বা হতাশা থেকে দ্রুত মুক্তির গোপন উপায় গুলো সম্পর্কে।
এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url