ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায়
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী হন, তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রকারভেদ সম্পর্কে আমি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
সেই সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত বিভিন্ন ধরেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিক্যালে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত তথ্য।
ভূমিকা
বর্তামান সময় তথ্য প্রযুক্তির সময়। বর্তমান পৃথিবী আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে অনেক দূর। আধুনিকতার ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির প্রাসার ঘটেছে অনেক দূর এবং দিন দিন বেড়েই চলেছে এর অগ্রযাত্রা, যা আমরা আমাদের চারপাশে দেখলেই বুঝতে পারি।
এই তথ্য প্রযুক্তি আবিষ্কার গুলোর অন্যতম একটি আবিষ্কার হল ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন- বিট কয়েন) নামে আমরা চিনে থাকি। ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একপ্রকার ডিজিটাল মুদ্র। যার বাস্তব জগৎ এর সাথে মিল নেই।
অর্থাৎ এটি হাত দিয়ে ধরা বা ছোঁয়া যাইনা এইটা ডিভাইসের মাধ্যমে লেন দেন করতে হয়। এটি সাধরণত অর্থ লেন দেনের বিকল্প একটি ব্যবস্থা বা পদ্ধতি। তাহলে জেনে নিই এর খুঁটিনুটি সকল তথ্যগুলো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতে সাধারণত আমরা ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে চিনে থাকি। এটি ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি বা এনক্রিপশন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এটি আবিষ্কারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থ প্রদানের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
এর মাধ্যমে কোনো প্রকার ব্যাংক ট্রানজেকশন ভেরিফাই ছাড়াই এর ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় যে কারও সাথে অর্থ আদান-প্রদান করতে পারে। এইক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল কারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্সি নামেই অধিক পরিচিত। আবার অনেকে ডিজিটাল গোল্ড বা সোনা বলে থাকে।
এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল ওয়ালেটে স্টোর করে রাখা হয়ে থাকে।এই ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়ালেট থেকে শুরু করে অর্থ আদান-প্রদান করা পর্যন্ত ব্যাপক লেভেলের কোডিং ব্যবহার করার মাধ্যমে এর সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন AI সম্পর্কে সকল জানা অজান তথ্য।
এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আপনাকে ডিজিটাল জগৎ এ অন্য লেভেলের সিউরিটি দিয়ে প্রদান করে থাকে। আপনি ব্যাংকে যতটা সিকিউর মনে করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ঠিক তার থেকে বেশি সিউরিটি বা সেফটি প্রদান করে থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো- বিট কয়েন ( BITCOIN)। এই বিট কয়েনই সর্বপ্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি দুনিয়ায় বিট কয়েন ২০০৯ সালের দিকে সাতোশি নাকামোতো হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেখান থেকে দিনে দিনে এটি একট শক্ত অবস্থানে চলে এসেছ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি মূলত দুই ভাবে কাজ করে থাকে। যেমন-
- ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও
- ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি: ব্লকচেইন প্রযুক্তি (Blockchain Technology) হল এমন এক ধরনের ডাটাবেইজ সিস্টেম, যেখানে সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেন-দেন বা আদান-প্রদান গুলো ব্লক আকারে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। সেই সাথে এর অর্থ লেনদেনের সকল প্রকার তথ্য নেটওয়ার্কের ভিতরে বা অভ্যান্তরে থাকা অন্য কোনো ব্যক্তি দেখতে পাইনা।
কেননা এখানে যখন একাধিক অর্থ লেনদেন সংঘটিত হয়, ঠিক তখনই একাধিক ব্লক তৈরি হয়ে যায় এবং সেইসাথে আরো একটি মজার ব্যাপার ঘটে সেটি হল প্রতিটা ব্লকচেইন তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বা আগের বা পরের ব্লকের সাথে অটোমেটিক চেইনের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি: ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি (Cryptography Technology) হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো নেটওয়ার্কে সকল প্রকার তথ্য আদান- প্রদান করার সময় তথ্যের সকল প্রকার নিরাপত্তা বা সিকিউরিট দিয়ে থাকে বা নিশ্চিত করে থাকে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনো প্রকার তথ্য আদান প্রদান করলে কেবল মাত্র আদান-প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রেরক ও প্রাপক অথবা অনুমতি ছাড়া ছাড়া কেউ পড়তে পারেনা।
এই প্রযুক্তিতে অ্যাডভান্স লেভেলের কোডিং ও সিকিউরিটি কি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো- সামাজিক যোগাযোগ গুলোর চ্যাটিং সিস্টেম। যেমন- মেসেঞ্জার,হোয়াটস অ্যাপ, টেলিগ্রাম প্রভৃতি। এছাড়াও এই প্রযুক্তি ইন্টারনেট ব্যাংকি সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রকারভেদ
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে আশা করা যায় ভবিষৎ তেও এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। বর্তমানে অনেক প্রকার বা ধরনের ক্রিপ্টকারেন্সি রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই এর প্রকারভেদ সম্পর্কে-
বিট কয়েন: বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও মূল্যবান ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিট কয়েন। বিট কয়েন ২০০৯ সালের দিকে সাতোশি নাকামোতোর হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেখান থেকে দিনে দিনে এটি একট শক্ত অবস্থানে চলে এসেছ। এটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান ডিজিটাল মুদ্রা।
আরও পড়ুন: জেনে নিন বিট কয়েন থেকে আয় করার উপায়।
বিনান্স কয়েন: বিনান্স কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি।এটির ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ট্রেডিং করা জন্য বিনান্স কয়েন বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইথেনিয়াম: ইথেনিয়াম ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক। এটি ২০১৫ সালের দিকে যাত্রা শুরু করে।প্রথমে এর তেমন বাজার মূল্য না থাকলেও বর্তমানে এটি বাজারে একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
ডগি কয়েন: ডগি কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ডিজিটাল মুদ্রা। এ কারেন্সিতে কুকুরের ছবি আছে, যার জন্য একে ডগি কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি বলা হয়।
কার্ডানো: কার্ডানো ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ডিজিটাল মুদ্রা। তবে এর মূল্য দিন দিন বাড়ছে।এগুলো ছাড়াও অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। তবে আমরা এই আর্টিক্যালে জনপ্রিয় ও মূল্যবান ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায়
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা থেকে বেশ কিছু উপায়া অর্থ আয় করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নিই ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে-
ট্রেডিং এর মাধ্যমে: ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে আয় করার বড় একটি উপায় বা মাধ্যম হল ট্রেডিং। এর অবশ্যই আপনাকে আর্থিক বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় এবং বিক্রয় করতে হবে।এর জন্য আপনার বাজার পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন অনলাইন থেকে ইনকামের গোপন উপায়।
সেই সাথে বাজার ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা আমাদের আর্থিক বাজার দ্রুত পরিবর্তনশীল।সুতরাং আপনি ট্রেডিংর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করতে হলে বাজার ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হবে।
তাছাড়া লসের সম্ভাবনা অনেক থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ও কার্যকারী একটি উপায় ট্রেডিং।
দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ: আপনি চাইলে এখানে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন। সে জন্য অবশ্যই আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা কিনে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে রেখে দিতে পারেন এবং এর বাজার দর বেড়ে গেলে বিক্রি কতে পারেন।
মাইনিং এর মাধ্যমে: আপনি চাইলে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা পদ্ধতিতে ট্রানজেকশন সমাধানের জন্য কম্পিউটার রিসোর্স প্রদান করতে পারেন । এর বদলে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন।ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় গুলোর একটি।
বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং এর মাধ্যমে: ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে এই বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং সিস্টেম। এর জন্য আপনাকে কিছু প্রজেক্ট ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা প্রদান করতে হবে এবং তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় গুলোর একটি।
ব্লকচেইন পরিচালনার মাধ্যমে: ব্লকচেইন পরিচালনার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আয় করতে হলে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর ভিত্তি করে নতুন ব্লকচেইন প্রোজেক্টের অংশীদার হতে হবে, যার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করার সুযোগ পেতে পারেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় গুলোর একটি।
এয়ারড্রপ: ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আয় করার জন্য বর্তমানে ব্যক্তিগত প্রচারণার জন্য এয়ারড্রপ বা বাউন্টি প্রোগ্রাম চলছে। যার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আয় করতে পারেন। এগুলো ছাড়াও অনেক ভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করা যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সির সুবিধা ও অসুবিধা
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।তাহলে চলুন জেনে নিই বিষয়টি সম্পর্কে-
ক্রিপ্টোকারেন্সির সুবিধা-
- ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং সিস্টেমের লেনদেনের তুলনায় অনেক সহজলভ্য।
- এখানে ব্যাংকের মতো তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই অর্থ বিনিময় করতে পারবেন অথবা লেনদেন করতে পারবেন।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা অত্যন্ত নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি মেন্টেন করে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে।
- দ্রুত সময়ে পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কাউকে টাকা বা অর্থ পাঠানোর জন্য ক্রিপ্টো কারেন্স অন্যতম একটি মাধ্যম। কারণ ক্রিপ্টো কারেন্সি ডিজিটাল মুদ্রা হওয়ার কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অর্থ লেনদেন করা সম্ভব।
- যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন দেশের সরকার অথবা কোন প্রকার ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয় না সুতরাং এর কোন নীতিমালা বা শর্ত নেই।
- অন্যান্য ব্যাংকিং সিস্টেমে অর্থ পাঠানোর সময় কিছু কিছু যেমন কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্ষেত্রে কোন প্রকার চার্জ হিসেবে কোন অর্থ কেটে নেওয়া হয় না।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি অর্থ বিনিময়ে মাধ্যম।
- ক্রিপটো কারেন্সির জন্য কোন ধরনের ব্যাংকের কোন প্রয়োজন হয় না।
- আপনি চাইলেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রাগুলো এটিএম কার্ড এর মাধ্যমে টাকায় রূপান্তরিত করতে পারবেন খুব সহজে।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি সবচেয়ে সুবিধার দিক হলো এটি কোন প্রকার জাল অথবা বিকৃতি করা সম্ভব নয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সির অসুবিধা-
- ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন ফিজিক্যালি অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ এটি হাত দিয়ে ছোঁয়া বা স্পর্শ করা সম্ভব নয়।
- ক্রিপ্টোকারেন্সির একবার কাউকে দিয়ে দিলে, তা আর ফেরানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার সব দেশে বৈধ নয়।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা মাধ্যমে অবৈধ কার্যক্রম চালানো যায়।
- এগুলোই মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সির সুবিধা ও অসুবিধা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ নাকি অবৈধ
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় বিক্রয় এবং নিজের কাছে রাখা সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ বা নিষিদ্ধ। তাহলে বুঝতেই পারছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ নাকি অবৈধ।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনি যেহেতু আমাদের আর্টিক্যালের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন, তারমানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিমধ্যে জেনেছেন।সেই সাথে আরও জেনেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধাও অসুবিধা সম্পর্কে।
সুতরাং আমার মতে বর্তমানে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা এটি বর্তমানে এটি আমাদের দেশে সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ একটি অর্থ ব্যবস্থা। সুতরাং ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিরত থাকায় ভালো। আর যেখানে লাভের পরিমাণ বেশি সেখানে না যাওয়ায় ভালো।
এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url