ভিসা কি ও ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য
ভিসা কি ও ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। সুতরাং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র বা নথিপত্র সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।এই আর্টিক্যাল পড়ার মাধ্যমে আপনি ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল ধরনের তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে দেরি না করে জেনে নেই ভিসা কি? ভিসা কিভাবে করতে হয়?
ভিসা কি ও ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য
ভিসা পূর্ণরূপ হল – Visitors International Stay Admission (VISA)
ভিসার প্রকারভেদ
ভিসা কি ও ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নেওয়ার সাথে সাথে ভিসার প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ভিসা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নিম্নে তা বর্ণনা করা হল-ভ্রমণ ভিসা বা পর্যটন ভিসা: টুরিস্ট ভিসা বলতে সাধারণত কোন দেশে ভ্রমণের জন্য যে ভিসার আবেদন আমরা করে থাকি তাকেই সোজা কথায় টুরিস্ট ভিসা বলা হয়। তাই যারা বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তারা সবাই টুরিস্ট ভিসার জন্যই আবেদন করে থাকেন।
স্টুডেন্ট বা ছাত্রছাত্রী ভিসা: স্টুডেন্ট ভিসা সাধারণত আমরা বাহিরের দেশে বা বিদেশে পড়াশোনার জন্য নিয়ে থাকে। অনেকেই বাইরে পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তারা বিদেশে পড়াশোনা করে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি তারা কাজকর্ম করে তাদের নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করে থাকে ।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কিভাবে পাসপোর্ট করতে হয় এবং পাসপোর্টের অজানা তথ্য।
মেডিক্যাল ভিসা: অনেকের চিকিৎসার জন্য দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে পা রাখতে হয় তাদের জন্যই মূলত মেডিকেল ভিসার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ব্যবিসায়িক ভিসা: ব্যবসায়িক ভিসা বলতে মূলত বোঝায় যে, যারা ব্যবসায়ের কাজে প্রতিনিয়ত এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে থাকেন মূলত তারাই ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে থাকেন ব্যবসায়িক ভিসা সাধারণত ব্যবসায়িক কাজের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইমিগ্রান্ট ভিসা : ইমিগ্রেন্ট ভিসা হল যখন কোন দেশের নাগরিক তার নিজের দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে চিরকালের জন্য বসবাস করার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সেই দেশে পাড়ি জমায় তখন সে ইমিগ্রান্ট ভিসা নিয়ে থাকে।
নন ইমিগ্রান্ট ভিসা: নন ইমিগ্রান্ট ভিসা হল যখন কোন ব্যক্তি কিছু সময়ের বা কিছু বছরের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায় যেমন- পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজকর্ম বা চাকরির জন্য তখন তাকে নন এমিগ্রান্ট ভিসা নিতে হয়।
ট্রানজিট ভিসা: কোন ব্যাক্তি এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য যাওয়ার সময় মাঝখানে কোন একটি দেশে কিছুদিন বা কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাহলে তিনি তার জন্য ট্রাঞ্জিট ভিসা নিয়ে থাকেন।
এ্যারাইভাল ভিসা: এ্যারাইভাল ভিসা যখন কোন ব্যক্তি বিদেশি কোন বিমানবন্দরে প্রবেশ করে তখন তাকে এই ভিসা প্রদান করা হয় এই বিষয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম কানুন ভালোভাবে মেনে চলতে হয় এবং আগে থেকেই এর বিশেষ কিছু নিয়মকানুন আছে যা জেনে নেওয়া প্রত্যেকের জন্য জরুরী।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র বা নথিপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সাথে জন্ম সনদের কপি সংযুক্ত থাকতে হবে
- বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা সাথে ইলেকট্রিসিটি বিল এর একটি কপি থাকতে হবে
- পেশাগত বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে
- অবশ্যই পাসপোর্ট এর বৈধতার সময় ৬ মাসের বেশি হতে হবে
- পাসপোর্ট এর অবশ্যই নূন্যতম তিনটি পৃষ্ঠা খালি বা অবশিষ্ট থাকতে হবে
- ভিসার আবেদনপত্রে অবশ্যই পাসপোর্ট এর নাম্বার সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে
- পাসপোর্ট এসব তারিখ এবং মেয়াদ শেষ হবার তারিখ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে হবে।
- আবেদন পত্রে অবশ্যই নাম স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতেই হবে
- আবেদনপত্রে অবশ্যই সঠিকভাবে স্ক্যান করা ছবি সংযুক্ত থাকতে হবে
- নতুন পাসপোর্ট এর আগে যদি পুরাতন কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেই পাসপোর্ট এর মূল কপি এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে
- পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ কোনভাবেই খালি রাখা যাবে না
কিভাবে ভিসা করতে হয়
ভিসা করতে কত টাকা লাগে
ভিসা কোথায় গিয়ে করতে হয়
ভিসার জন্য সাধারণত অনলাইনে আবেদন করা যায় কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে আবেদন না করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার নিকটস্থ ভিসা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনার পূরণকৃত ভিসার ফর সেখানেই জমা দিতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ভিসা কোথায় গিয়ে করতে হয়।ভিসা কিভাবে চেক করতে হয়
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে গুগলে তারপর আপনি যেই দেশে ভ্রমণ করবেন বা যাবেন সেই দেশের নাম উল্লেখ করে ভিসা চেক লিখে গুগলে সার্চ দিতে হবে যেমন- যদি আপনি ইন্ডিয়াতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে লিখতে হবে ইন্ডিয়া ভিসা চেক।শেষকথা
ইতি মধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি যে ভিসা কি ও ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য।তাহলে আপনি এখন যদি একটি ভিসা করতে চান তাহলে উপরে বর্ণিত বিষয় গুলো মেনে কাজ করলে খুব সহজেই ভিসা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জেনে নিন আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড করার নিয়ম।
এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;
comment url