ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী হন, তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও ঠোঁটের সিগারেটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিত সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
সেই সাথে শরীরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্থান ঠোঁট কালচে ভাব দূর করে গোপাপি করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বিভিন্ন ধরেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিক্যালে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত তথ্য।.

ভূমিকা


ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঠোঁট আমদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় একটি স্থান। সুতরাং আমরা সবাই আমাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে সব সময় সুন্দর ,কোমল ও মসৃণ দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। ঠোঁট গোলাপী রঙের হক এইটা কিন্তু আমরা সবাই চাই। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দেখা যায় যে, আমাদের ঠোঁট কালো বা কালচে হয়ে গেছে।

এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রায় বিভিন্ন চিন্তা করে থাকি যে, কিভাবে শরীরের এই আকর্ষণীয় স্থানটির কালচে ভাব দূর করে একেবারে গোপালী রঙের করা যায়।তবে একটি কথা বলে নিই যে, যেহেতু আপনি আমাদের এই আর্টিক্যালটি পড়তে এসেছেন সেহেতু এসব চিন্তা বাদ দিয়ে দিন।
কেননা আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে আমি আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জানাবো কিভাবে আপনি আপনার শরীরের এই আকর্ষনীয় অঙ্গ ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে আরও বেশি গোপালী করতে পারবেন। কেননা আপনি যেহেতু এই আর্টিক্যাটি পড়তে এসেছেন তারমানে আপনি চান আপনার শরীরের এই আকর্ষনীয় অঙ্গ ঠোঁট আরও গোপালী করতে।

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো হল-

মধুর ব্যবহার: মধু খুবই উপকারী একটি খাবার হলেই রূপর্চায় এর কোনো বিকল্প নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ত্বক সুন্দর,কোমল ও মসৃণ করতে মধুর বিকল্প কিছু হতেই পারেনা।ঠোঁটের ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু মাত্র কালচে ভাব দূর করতেই নয় ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু ভীষণ উপকারী।
তাই ঘুমোনোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কিছুদিনের মধ্যেই কালো ঠোঁট গোলাপী হতে শুরু করবে। সুতরাং ঠোঁট গোপালী করার জন্য নিয়মিত মধুর ব্যবহার করতে পারেন। এটিই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়।

লেবুর ব্যবহার: লেবুর রস যেকোনো কিছুর দাগ দূর করতে খুব ভাল কাজ করে।এই জন্য লেবুকে ভালো ব্লিচিং উপাদানও বলা হই। প্রতিদিন গোসলের আগে অথবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভাল ভাবে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। কিছুদিনের মধ্যে ফলাফল চোখে পড়বে।

সুতরাং আপনি যদি আপনার শরীরের আকর্ষনীয় স্থান ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে গোলাপি করতে চান, তাহলে নিয়মিত লেবু ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দ্রুতই ফলাফল পাবেন।

দুধের শরের ব্যবহারত: দুধের শর আমাদের শরীরের যোকোনো কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে সেই সাথে ত্বক কোমন ও মসৃণ করে । সুতরাং আপনি যদি নিয়োমিত ঠোঁটে দুধের শর ব্যাবহার করেন তাহলে অতি দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবেন। তাই ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত দুধের শর ব্যবহার করতে পারেন।

চিনির ব্যবহার: চিনিকে প্রাকৃতিক স্ক্রাইবার বলা হই। নিয়োমিত চিনি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাইব করলে ঠোঁটের কালোদাগ দূর করার পাশাপাশি ঠোঁটের মরা চামড়াও দূর করবে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে দুই চা চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে ভালোভাবে মিশ্রণ করে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
তবে এটি সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং আপনি যদি আপনার ঠোঁটের কালো দাগ ও মরা চামড়া দূর করতে চান তাহলে এই প্রাকৃতিক স্ক্রাইব ব্যবহার করতে পারেন।

গোলাপ জলের ব্যবহার: প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে সামান্য তুলাতে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁটের রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁটের কালচে বা কালো দাগ দূর হবে। সুতরাং আপনি আপনার ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ঠোঁটে গোপাল জল ব্যবহার করুন।

ভিনেগারের ব্যবহার: ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য ভিনেগার খুবই কার্যকারী একটি উপকরণ। এরজন্য প্রথমে আপনাকে এক চা-চামচ পানির সাথে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ভালো করে মিশ্রণ করুন। এর পরে তুলার মাধমে ঠোঁটে ব্যবহার করুন । কিছুক্ষণ রেখে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এতে করে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে। সুতরাং বলা যায় যে, ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

এলোভ্যারা বা ঘৃতকুমারির ব্যবহার: এলোভেরার অনেকগুণাগুণ সমৃদ্ধ । এটি রূপচর্চার জন্য ব্যাপক ব্যবহৃত হতে থাকে। তাই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর কররা জন্য প্রথমে এলোভ্যারা বা ঘৃতকুমারীর জেল সামান্য পরিমাণ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে অতি দ্রুত। সুতরাং আপনি যদি আপনার ঠোঁটকে গোলাপী করতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত এলোভ্যারা বা ঘৃতকুমারির ব্যবহার করুন।

শসার ব্যবহার: রূপচর্চায় শসার ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ করে। তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য নিয়োমিত কয়েক মিনিট শসা ঠোঁটে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।এতে করে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ও আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ করবে।

সুতরাং ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত শসা ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে রূপ চর্চার জন্যেও শসা ব্যবহার করতে পারেন।

বেকিং সোডার ব্যবহার: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বেকিং সোডা খুবই উপকারি। এর জন্য প্রথমে আপনাকে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তার পর ধুয়ে ফেলুন ।এতে করে ঠোঁটের কালো দাগ বা কালচে ভাব অতি দ্রুত দূর হইয়ে যাবে।

সুতরাং ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মাঝে মাঝে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ করে ঠোঁটকে গোপালী করবে।

নারিকেল তেলের ব্যবহার: নারিকেল তেল ঠোঁট সুন্দর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই জন্য ঠোঁটে নিয়োমিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ঠোঁট কোমল,সতেজ ও সুন্দর থাকে। সুতরাং ঠোঁট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।

বরফ: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য নিয়মিত বরফের কিউব ব্যবহার করতে পারেন। কেননা বরফ কালো দাগ দূর করতে খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। সুতরাং ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য নিয়মিত বরফের ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁটের সিগারেটের কালো দাগ দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি যেহেতু আমাদের এই আর্টিক্যালটি পড়তে পড়তে এই পর্যন্ত চলে এসেছেন, সেহেতু আমি ধরে নিচ্ছি আপনি এতোক্ষণে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনেছেন।
প্রিয় পাঠক, আপনার ঠোঁট কালো বা কালচে ভাব ধূমপান বা সিটারেটের জন্যই হোক বা অন্য কোনো কারনেই হোক না কেন এর জন্য একই সমাধান অর্থাৎ ঠোঁট যেভাবেই কালো হোক না কেন আপনি যদি সেই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে গোলাপী করতে চান তাহলে-

অবশ্যই উপরের বর্ণিত নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ অতি সহজেই দূর হয়ে যাবে। সেই সাথে ঠোঁট ভালো, সুন্দর, মসৃণ ও সতেজ থাকবে। সুতরাং ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য উপরে বর্ণিত নিয়ম গুলো মেনে চলুন।

ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান কারণ

আমাদের শরীরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ঠোঁট। আমরা সবাই চাই আমাদের ঠোঁট যেন গোপালী রঙের থাকে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে আমাদের ঠোঁট গোলাপী থেকে কালচে রঙের হয়ে যায়। তাহলে চলুন জেনে নিই ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধাণ কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-

  • অতিরিক্ত ধুমপান করা ।
  • অতিরিক্ত চা, কফি পান করা।
  • সানবার্ণের জন্যেও ঠোঁট কালো হয়ে যায়
  • অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন কারণেরই আমাদের
  • আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
  • নিম্ন মানের কসমেটিক্স ব্যবহার করা।
  • পর্যাপ্ত পানি পান না করার জন্যেও ঠোঁট কালো হতে পারে।
  • স্বাস্থ্যের প্রতি উদাহীনতাসহ বিভিন্ন কারনে ঠোঁট কালচে ভব বা কালো হয়ে যেতে পারে।তাই আমদের উচিত ঠোঁটের সঠিক যত্ন নেওয়া । এগুলোই ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান কারণ।

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বাজারে ক্রিম অসংখ্য ক্রিম রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে পারেন, তাহলে কেন মেডিসিন যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন। তারপরেও যদি আপনি ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর নাম জানতে চান তাহলে কয়েকটি ক্রিমের নাম জেনে নিন।
  • বেটাভিট সিএল।
  • বিন্টোভিস সিএল ।
  • সেক্সি পিংক সহ বিভিন্ন ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়।
এর জন্য আপনাকে ফার্মেসির দোকানে অথবা কসমেটিক্সের দোকানে গিয়ে আপনাকে কিনতে হবে।
তবে আমি আপনাকে সব সময় সব পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক উপায় গুলো ব্যবহার করতে বলব। তবে বাকিটা আপনার ইচ্ছে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমাদের এই আর্টিক্যালের এই পর্যায়ে চলে আসেন তাহলে ইতি মধ্যেই আপনি জেনেছেন যে, ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং ঠোঁটকে গোপাপি, সতেজ, মসৃণ ও সুন্দরকরার বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে । 
এর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় মেনে চললেই আমরা আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে গোলাপি,সতেজ,মসৃণ ও সুন্দর করতে পারবো।

প্রিয় পাঠক আপনি যেহেতু আমাদের আর্টিক্যালের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন, তারমানে আপনি দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিমধ্যে জেনেছেন।
সুতরাং আপনি যদি দাঁত শিরশিরানি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই উপরে বর্ণিত নিয়ম গুলো সঠকভাবে ভাবে মেনে চলুন । তাহলে দ্রুই আপনার দাঁত শিরশির বন্ধ হয়ে যাবে।

এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;

comment url